বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৫ ভাগ

Paris
Update : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। আর এতে ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। এসময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ২২৯টি কেন্দ্রের ফলাফলে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। এ ছাড়া বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান ১০ হাজার ৫৪৯ ভোট, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম ৫ হাজার ৮০৯ ভোট, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল ২ হাজার ৮৬৪ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) শফিয়ার রহমান পাঁচ হাজার ১৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি দুই হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়েছেন।-এফএনএস

২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফের নির্বাচন: এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় এ নির্দেশনা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। গত মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহাজাদা ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ও সাইফুল ইসলাম ফুলু ঘুড়ি প্রতীকে তিন হাজার ১৯৭ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এম. এ রাজ্জাক মণ্ডল লাটিম প্রতীকে এক হাজার ৮৯২ ভোট পান। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৩ হাজার ৬১৬ জন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শোয়েব সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জামানত হারালেন সাতজন: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অন্যরা। একমাত্র ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল কিছুটা সুবিধা করতে পারলেও বাকি সাত প্রার্থী তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ ওই সাতজনই জামানত হারিয়েছেন। এদিকে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ এর ৪৪ বিধির ৩ উপবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ বা ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর কোনো প্রার্থী মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের একভাগ ভোট পেতে ব্যর্থ হলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আমিরুজ্জামান পিয়াল ছাড়া বাকি সাত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ফলাফলে দেখা যায়, মোট বৈধ ভোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৬টি। এর আট ভাগের এক ভাগ ৩৪ হাজার ৯৯২, কিন্তু এই পরিমাণ ভোট পাননি বাকি সাত প্রার্থী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris