বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

‘মানসিক সমস্যায় ভুগছে দেশের তিন কোটি মানুষ’

Paris
Update : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

দেশের ১৮ ভাগ তথা প্রায় ৩ কোটি মানুষ মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা জানি মানসিক সমস্যায় বিশ্বে বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। আর বাংলাদেশের ১৮ ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক বা তিন কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে এই সমস্যায় ভুগছে। অন্যান্য অনেক রোগেও এমনটা হয় না। মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত এসব রোগীর বড় একটি অংশ শিশু। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য রিপোর্ট ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকৌশল পরিকল্পনা ২০২০-৩০ এর অবহিতকরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।-এফএনএস

জাহিদ মালেক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা বলছি না যে অনেকিছু করেছি, কিন্তু আমরা উপলব্ধি করছি। পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় কাউন্সিলিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২শ উপজেলায় থাকা এনসিডি কর্নার রয়েছে, সেখানেও এই কাউন্সিলিং করার ব্যবস্থা থাকছে। তবে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। শুধু যে সুযোগ-সুবিধার কারণে সমস্যা হচ্ছে তা কিন্তু নয়। সচেতনতায়ও এখনো নানা গ্যাপ রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যে বাজেটেও এখনো ঘাটতি আমরা দেখছি। এটি কীভাবে বাড়ানো যায় চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে দক্ষ জনবল বাড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এটি হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। এই সমস্যার কারণে অনেকে চাকরি হারান, দেশের প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়, অপরাধের মাত্রা বাড়ে। এমনকি উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বাড়ে এই মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে। তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পেছনে সায়মা ওয়াজেদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তার কারণেই অনেক গবেষণা হয়েছে, আইনি কাঠামো তৈরি হয়েছে। যা অনেক দেশেই নেই। এগুলো বাস্তবায়নের এখনই সময়। এ সময় মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে পরিবার থেকেই পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্ত্বারোপ করেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ। তিনি বলেন, আমাদের শারীরিক চিকিৎসা নানা কর্মকৌশল থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ছিল না। এজন্য নানা পরিকল্পনা আমরা করেছি। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটা উন্নত পরিবেশ দরকার।

শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চাইলেই হবে না, আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। পরিবার থেকেই এটি চালু করতে হবে। পরিবারেই তাকে যেন দুর্বল করে দেখা না হয়। সায়মা ওয়াজেদ বলেন, আজ গর্ব করে বলতে হয় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বাংলাদেশের একটি কর্মকৌশল আছে, একটি আইন আছে। কিন্তু সবাই এগিয়ে না আসলে, কাজ না করলে এগোবে না। সবার আগে নিজেকের পরিবর্তন করতে হবে। জাঁতি হিসেবে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছে। সেখান থেকে উন্নত দেশের কাতারে এসেছি, তাহলে কেন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের মত জায়গায় এগোতে পারবো না? স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উন্নতি করতে চাইলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। এখাতে ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের ৬০ ভাগই খরচ হচ্ছে ট্রেনিংসহ অন্যান্য কাজে। তাই বরাদ্দ বাড়ানো খুবই জরুরি। এ সময় জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালেন সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কর্মকৌশর বাস্তবায়নে একটা বডির প্রয়োজন। যেটি বিএমডিসি মাধ্যমে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ নয়, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ দরকার। কিন্তু এগুলোতে এখনো ঘাটতি রয়েছে। গত দুই বছরের আত্মহত্যা বেড়েছে। কীভাবে এটি রোধ করা যায় সেই কৌশল এতে রয়েছে। তিনি বলেন, পিতামাতা ও সবার সচেতনতা দরকার। আমাদের মনের যত্ন নিতে হবে। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এটি যুক্ত করতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris