বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার

অদূরের খড়খড়ি পাইকারি বাজারের সবজি রাজশাহী শহরে এসে হয়ে যাচ্ছে দিগুন দাম?

Paris
Update : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী শহরের অদূরে খড়খড়ি হলো কৃষকের সবজি বিক্রির অন্যতম পাইকারি বাজার। রাজশাহী শহর থেকে এই পাইকারি বাজার ১০ কিলোমিটার দূরে। এখানে প্রতিদিন শতশত মণ শাক-সবজি বিক্রি হয় পাইকারিতে। এই বাজারের প্রতিদিনের ক্রেতা শহরের দোকানিরা। এবার শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালের হিসাব দেখা যাক। এই বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে। হিসেব অনুযায়ী এক কেজি বেগুনের দাম পড়ে ১৫ থেকে সাড়ে ১৭ টাকা। অথচ এইদিন শহরে সেই বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। একইভাবে এক মণ ফুলকপি বিক্রি হয়েছে খড়খড়ি বাজারে ৫০০-৬০০ টাকা দরে। কিন্তু সেই ফুলকপি রাজশাহী শহরে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। তাহলে হিসাব দাঁড়ালো প্রতিটি সবজি মাঠ পর্যায়ে থেকে শহরে এসে দাম হয়ে যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ ।
সবজি চাষী আকবর হোসেন বলেন, আমরা কষ্ট করে ক্ষেতে ফসল ফলাই। কিন্তু সেই হারে কখনো দাম পাই না। ফসলের দাম কমুক আর বাড়ুক তাতে ব্যবসায়ীদের কোন লোকসান হয় না যা লোকসান হয় কৃষকের। এখন সবজির দাম কম। এর ফলে প্রায় প্রতিটি সবজি চাষ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। অথচ আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নিয়ে গিয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল মানিক বলেন, কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে মনে ২০০-৩০০ টাকা লাভ না করলে আমাদের সংসার চলবে না। আবার মাঠ থেকে যারা শহরে নিয়ে গিয়ে পাইকারি বিক্রি করে, তারা আরও বেশি লাভ করেন। তাদের নিকট থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। এভাবে সবজির দাম মাঠ পর্যায়ে থেকে শহরে গিয়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
রাজশাহীর সাহেব বাজার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাইকারি বাজারে যেসব বিক্রেতা সবজি বিক্রি করেন তারা প্রতিমণে বড়জোর ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাভ করে থাকেন। পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে নিয়ে গিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে দশ টাকা পর্যন্ত লাভ করেন। এ কারণে গ্রামের বাজারে যে বেগুন ১৫ টাকায় বিক্রি হয় সেটির শহরে এসে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর বানেশ্বরে এক মণ টমেটো বিক্রি হয়েছে ৬৫০-৭০০ টাকা মণ। কিন্তু ওই বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ১০ থেকে ১৫ টাকা আর রাজশাহী শহরে এসে সেটি দাঁড়ায় ২০ টাকা কেজি। এক কেজি সিম বিক্রি হয়েছে রাজশাহী শহরে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। বানেশ্বর বাজারে পাইকারী সেটি ছিলো ২০-২৫ টাকা কেজি।

রাজশাহী শহরের বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ কেজি দরে। আর খড়খড়ি বাজারে সেটি সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি। এছাড়াও ৩৫ টাকার করলা ৫০ টাকা কেজিতে, ২০ টাকার মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি, ১৫ টাকার লাউ ২৫ থেকে ৪০ টাকা পিস। আবার ১০ টাকার পালং শাক ২০ টাকা, ১০ টাকার সবুজ ও লাল শাক ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris