মঙ্গলবার

১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মান্দায় গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২

মান্দা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় ভালো ফলন ও আশানুরুপ দাম পাওয়ায় গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। অসময়ের এ ফসলে এরই মধ্যে কৃষকের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এতে আগামি মৌসুমে এ আবাদের চাষ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিনামূল্যে সার, বীজ, পরিচর্যার জন্য অর্থ সহায়তা, বালাইনাশকসহ যাবতীয় উপকরণ দেওয়া হয়েছে চাষিদের। ভারতীয় জাতের এ পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের আগ্রহ সৃষ্টি হলে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি অনেকাংশে কমে যাবে। বাজারে সংকট না থাকলে ভোক্তারাও স্বাচ্ছ্যন্দে কিনতে পারবেন মসলা জাতীয় এ পণ্যটি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। পরিচর্যার জন্য মোবাইল বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়া বালাইনাশক, পলিথিনসহ অন্যান্য উপকরণ পেয়েছেন প্রত্যেক কৃষক। উপজেলার মৈনম গ্রামের কৃষানি রানী বেগম বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় চারা উৎপাদনের জন্য বীজতলা তৈরি করেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় চারা তৈরি করতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেই চারা ১৫ কাটা জমিতে রোপণ করেন। এরই মধ্যে পেঁয়াজে গুটি আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাজারদর ভালো আছে। এ চাষ থেকে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
দেলুয়াবাড়ি গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ অন্যান্য উপকরণ পেয়েছি। পরিচর্যার জন্য মোবাইলে ২ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। খেতের পেঁয়াজ অনেক সুন্দর হয়েছে। কৃষি দপ্তরের লোকজন সবসময় পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি ভালো ফলন পাব। কৃষি দপ্তরের সহায়তা পেলে আগামিতে আরও বেশি জমিতে গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজের চাষ করব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, গ্রীষ্মকালিন পেঁয়াজ নাসিক এন ৫৩ জাতটি ভারতীয়। এ জাতের পেঁয়াজের বীজ সরবরাহ করেছে বিএডিসি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সবধরণের পরামর্শ দেওয়ায় আবাদ আশানুরুপ ভালো হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এরই মধ্যে খেত থেকে পেঁয়াজ তোলা শুরু করেছেন কৃষকেরা। প্রতিবিঘায় ৬৫ থেকে ৭০ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারদরও ভালো রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এ আবাদের প্রতি কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris