শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি আয়েনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আাদালতে মামলা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহী-৩ আসনের (পবা-মোহনপুর) এমপি মো. আয়েন উদ্দিন ও মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহীর মোহনপুর আমলি আদালতে মামলাটি করেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার আলী হায়দার নামের এক ব্যক্তি। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের কর্মী ছিলেন আলী হায়দার। তাকেসহ চার-পাঁচজনকে মারপিট ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন,সহযোগী বুলবুল হোসেন, মাহবুব রহমান, শফিকুল ইসলাম, টুটুল আহমেদ, রাজু আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের প্রধান সম্নয়কারী ছিলেন মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী এ্যাডভোকেট আবু রায়হান প্রধান নির্বাচন সম্বনয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঘটনার দিন গত ৫ অক্টোবর দায়িত্ব পালন কালে তিনি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ পান যে, তাদের
নির্বাচনী প্রচার কর্মী মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের পার্শে ফেস্টুন পোষ্টার টাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে মামলার আসামীরা উত্তপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কতে কতে ঘটনাস্থলে আসে অসিম কুমার দাস, মেহেরুন্নেছা, সুইট সহ ৪/৫ জনকে কিল, থাপ্পড় মেরে বুকের কাপড় ধরে টানাটানি করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে আটক রাখে। এমন সংবাদ পেয়ে ১নম্বর সাক্ষী অন্যান্য সাক্ষীগণকে নিয়ে তৎক্ষনাৎ ২টি মাইক্রোবাসে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর এমপি আয়েনের নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা বাদীসহ সকল সাক্ষীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কিল, ঘুষি, লাথি মারিতে থকে। এসময় লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মাইক্রোবাস দুটির ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি দ্রুত জানাজানি হলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাদীসহ সাক্ষীদের উদ্ধার করে। মামলার আইনজীবী আবু রায়হান জানান, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে মামলার বিষয়ে জানেন না বলে জানান এমপি আয়েন উদ্দিন। তিনি বলেন, ওইদিন ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত না থাকলে আরও বড় ধরনের ঝামেলা হত। আমি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করি। অভিযোগকারীরাই আমাদের লোকজনকে ওইদিন মারপিট করে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris