ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শিথিল চেয়ে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। গতকাল রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা। বক্তারা বলেন, বায়ুদূষণ রোধে বিগত ২০০২ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম মেনে পরিবেশবান্ধব ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনী স্থাপন করেছে ভাটার মালিকরা। কিন্তু ২০১০ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর আরেক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে তৎকালীন ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনীর পরিবর্তে জিগজ্যাগ প্রযুক্তির ইটভাটায় রূপান্তর করার নির্দেশ দেয়। যা দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেয় অধিদপ্তর। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে প্রতিটি ভাটাকে প্রায় দুই কোটি টাকার অধিক ব্যয় করতে হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ ইটভাটা জিগজ্যাগ প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, জিগজ্যাগ প্রযুক্তির ভাটার জন্য বিদ্যমান আইনকে শিথিল করে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স ও ছাড়পত্র দিয়ে ইটভাটাগুলিকে পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনকে শিথিল করে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ইটভাটা পরিচালনা করতে দেওয়ার আবেদনও জানায় সরকারের কাছে।