শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তানোরের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ?

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহীর তানোরের অঙ্গনে হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাস্তার বিরোধীদল বিএনপির নেতাকর্মীরা মূখোমূখি অবস্থানে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ-অসন্তোষের মাত্রা বাড়ছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক মফিজ উদ্দিন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে কটুক্তি করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনের এমন বেফাঁস মন্তব্যর কারণে রাজনীতির মাঠে দলটি অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মফিজের বক্তব্য প্রত্যাহার, প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাকে আটকের দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর রোববার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন (ইউপি) আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাশেদ খান মেনন পাপুলের সঞ্চালনায় চাঁন্দুড়িয়া বাজার মোড়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্খিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য মাইনুল ইসলাম স্বপন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার ও সোনীয়া সরদার, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও তরুণ উদ্যোগক্তা আবুল বাসার সুজন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব রামিল হাসান সুইটপ্রমূখ। এদিকে বক্তাগণ স্থানীয় সাংসদকে নিয়ে বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনের করা কটুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানিয়ে বলেন, এমপি ফারুক চৌধুরী শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে, তিন বারের নির্বাচিত সাংসদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জেলার সভাপতি-সম্পাদক, সিআইপি, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও জমিদার পরিবারের সন্তান তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষের গর্ব। পক্ষান্তরে মফিজ উদ্দিন একজন ধর্ষণকারি, সরকারি গাছ চোর, সার পাচারকারি, দুর্নীতিবাজ ও সমাজের ঘৃনিত ব্যক্তি। তার মতো বিতর্কিত ঘৃনিত ব্যক্তি এমপি ফারুক চৌধুরীর মতো গণমানুষের নেতাকে নিয়ে কটুক্তি করতে পারেন না এটা সহ্য করা হবে না। তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার, প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাকে আটকের দাবি করেছেন। আগামিতে জনগণ এর দাঁতভাঙা জবাব দিবেন। প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মফিজের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রচন্ড ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানান। এদিকে
প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির এক জৈষ্ঠ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মফিজ উদ্দিন একজন ভেজাল নেতা। তিনি বলেন, সে সব সময় দলে কোন্দল সৃষ্টি করে কখানোই বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ হতে দেন না। তিনি এবারো বিএনপির ক্ষতি সাধনের লক্ষ্য আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকার দলীয় একজন প্রভাবশালী এমপিকে কটুক্তি করে পুরো বিএনপিকে বিপদের মূখে ঠেলে দিয়েছে। এতে দলের যে অপুরনীয় ক্ষতি হতে চলেছে তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris