শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
পুঠিয়ায় দশ চাকার ট্রাকে গিলে খাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সড়ক! রাজশাহীসহ দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, বাড়তে পারে আরো তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭ দিন বন্ধ তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার

গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন

Paris
Update : বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

নওগাঁ প্রতিনিধি
গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয়করনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলা গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এম, এ নাছের, নওগাঁর আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, আহবায়ক সম্পাদক গোলাপ চাঁনসহ অন্যান্য গ্রাম পুলিশরা বক্তব্য রাখেন প্রমুখ।মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের জাতীয়করণের আদেশ দেন। ১৯৭৬ সালে পরিপত্র আকারে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ওই আদেশ প্রত্যেক জেলায় প্রেরণ করা হয়। অথচ ওই পরিপত্র আজ অবধি বাস্তবায়ন হয়নি। সারাদেশে ৪৬ হাজার ৮৭০ জন গ্রাম পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছে। এরমধ্যে একজন দফাদার ৭ হাজার টাকা ও একজন মহল্লদর ৬ হাজার ৫শ টাকা বেতন পায়। এই টাকার অর্ধেক সরকারি ভাবে বাকি অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদের থেকে দেয়া হয়। সরকারি অংশ নিয়মিত পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের থেকে বেতনের অর্ধেকাংশ নিয়মিত পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকতে চাকরির জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

গ্রাম পুলিশ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত আছি। গ্রাম পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বের সঙ্গে সবসময় কাজ করে থাকে। আমাদের রাত্রিকালীন পাহারায় থাকতে হয়, গ্রাম আদালত পরিচালনার সময় থাকতে হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এবং সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে, ইউনিয়নে কাজ করতে হয়। কিন্তু শ্রম অনুযায়ী ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত আমরা।
গোলাপ চাঁন নামের আরেক গ্রাম পুলিশ সদস্য বলেন, গ্রামীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সরকারের নির্দেশে প্রায় ৭০ প্রকারের কাজে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে। আমরা যে বেতন পাই সেই টাকা দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হয়না। গ্রাম পুলিশদের জাতীয় বেতন স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয় প্রায় জেলার ৯৯টি ইউনিয়নের ৯শতাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্য।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris