বৃহস্পতিবার

১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগর রাস্তায় অসেচতন বাইক চালকের মোবাইল ‘টক শো’!

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
রাস্তার যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর মতো অপরাধ প্রতিনিয়তই ঘটছে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে। অন্যদিকে, ট্রাফিক আইন অমান্য করে গাড়ি চালানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই নগরীর কোথাও না কোথাও ঘটছে ছোটখাটো অনেক দূর্ঘটনা। রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ নিয়ম ভঙ্গের কারনে গাড়ি চালকদের করছেন নিয়মানুযায়ী বিভিন্ন ধরেনর জরিমানাও। কিন্তু, তবুও যেনো ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা কমছে না চালকদের মাঝে। বিশেষ করে মোটর সাইকেল, ইজিবাইক ও অটোরিক্সা চালকদের মাঝে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্যণীয়।

গতকাল মঙ্গলবার নগরীর কামারুজ্জামান চত্বরের পূর্ব দিকের ব্যস্ততম রাস্তায় লক্ষ্য করা গেছে নতুন ধরনের এক সড়ক অপরাধের। বিষয়টি একদিকে যেমন অপরাধ, অন্যদিকে অসচেতনতার একটি উদাহরণও বটে বলে মন্তব্য সচেতন চালকদের। ‘একজন বাইক চালক হঠাৎ করেই মধ্য রাস্তায় বাইক থামিয়ে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করেন। তারপর তিনি, প্রায় ৪০ সেকেন্ড নিজের মোবাইলে ফোনটি কানে ধরে কথা বলেন। কথা শেষে, আবারো তিনি তার মটরসাইকেলটি নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হন। ব্যস্ততম রাস্তায় মূহুর্তের মধ্যে পেছনে থাকা চলমান কোন গাড়ি এসে নিজের অজান্তেই ধাক্কা দিয়ে গুরুত্বর আহত করতে পারতো ঐ চালককে। এমনকি প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারতো।

মাঝেমধ্যেই নগর সড়কে এমন ধরনের অসচেতন চালক লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও, কম সময়ে ‘সর্টকার্ট’ পথ ব্যবহার করার প্রবণতায় রাস্তার বিপরীত মূখী হয়েও গাড়ি চালাতে দেখা যায় অনেক চালককে। আর যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেবার প্রবণতার বিষয়টি তো অহরহ লক্ষ্যনীয় একটি বিষয়ে দাড়িয়েছে। গতকালকের এই বিষয়টিকে‘মোবাইল টক শো’ বলে মন্তব্য করেন অনেকেই। নগর ট্রাফিক পুলিশের টিআই আতাউল আল কোরাইশী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চলমানবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি রাস্তার মধ্যভাগে মটরসাইকেল থামিয়ে মোবাইল ফোন রিসিভ করে তবে সেটি ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯২(২)’ ধারা ভঙ্গের সামিল।

এটি একটি প্রত্যক্ষ অপরাধ। কোন চালকের যদি কোন কারনে তাৎক্ষণিক ভাবে থামার প্রয়োজন হয় তবে তিনি রাস্তার বাম দিকের নিরাপদ কোন জায়গায় গাড়ি থামায়ি নিজের জরুরী কোন কাজ করতে পারেন। কিন্তু অসচেতন ব্যক্তিরা এই ধরনের দায়িত্বহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকেন। বিষয়গুলোর দিকে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশকে মনোনিবেশ করার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কোরাইশী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris