শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ইমরান খানের হুমকি ইরানের ইসফাহান কেন হামলার টার্গেট?

শিগগির পাইকারি দাম বাড়লেও বাড়ছে না বিদ্যুতের খুচরা মূল্য

Paris
Update : শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শিগগিরই বাড়ছে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য। আগামী মাস থেকেই তা কার্যকর হতে পারে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের বার্ষিক ভর্তুকির পরিমাণ প্রাক্কলনের পরই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। তবে আপাতত বিদ্যুতের খুচরা মূল্য না বাড়লেও আগামী বছরের শুরুতেই বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অক্টোবর থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলো পিডিবির কাছ থেকে বর্ধিত দামে বিদ্যুৎ কিনবে। এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই খরচ বৃদ্ধির যুক্তি দেখিয়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো খুচরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেবে। আর ওই প্রস্তাবের ওপর শুনানি শেষে আগামী বছরের শুরুর দিকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিইআরসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের সম্মতি পাওয়া গেছে। তবে ভর্তুকির পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ১৫ শতাংশের কমবেশি হতে পারে। বিইআরসি প্রাথমিকভাবে ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলেও এখন তা ১০ শতাংশের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে। সরকারের চূড়ান্ত সিগন্যাল পেলে ওই অনুযায়ী মূল্য সমন্বয় করে দাম ঘোষণা করা হবে। চলতি সপ্তাহেই মূল্য ঘোষণা করে অক্টোবরের ১ তারিখ থেকেই নতুন মূল্যহার কার্যকর করা হবে। বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধির জন্য বিগত ১৮ মে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিইআরসি আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে মূল্যহার সমন্বয় বিষয়ে আদেশ দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই হিসাবে ২৮ সেপ্টেম্বরে ৯০ কার্যদিবস পূরণ হয়।
সূত্র জানায়, বিশ্ববাজারে সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বেড়েছে গ্যাসের দামও। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়ছে। তার মধ্যে বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধি আরেকটি বড় ধাক্কা। যদিও ব্যয়বহুল বলে আপাতত ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে বা উৎপাদন কমেছে। একই কারণে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিও বন্ধ। জনগণ লোডশেডিংয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূলত অপচয় কমাতে পারলে দাম কমানোও সম্ভব।
এদিকে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের মতে, বিইআরসি পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে খুচরা মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণাও দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির আগে সংস্থাটি ওই ঘোষণা দিতে চায় না। এমন অবস্থায় যে হারে পাইকারি দাম বাড়বে তার সঙ্গে সমন্বয় করে পরে খুচরা মূল্যবৃদ্ধির আবেদন করা হবে। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল জানান, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ায় সময়সীমা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যেই পাইকারি দাম ঘোষণা করা হবে। বিতরণ কোম্পানিগুলো মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়নি। সেজন্য গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা দাম এখনই বাড়বে না। বিতরণ কোম্পানি আবেদন করলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris