শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নামেই প্রথম শ্রেণির পৌরসভা, নেই সুযোগ সুবিধা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সুমন আলী, নওগাঁ : প্রায় ৫৯ বছরের পুরোনো নওগাঁ পৌরসভায় নেই পর্যাপ্ত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। উন্নয়ন হয়নি রাস্তাঘাটের। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও বেহাল। এতে করে বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরসভার বাসিন্দারা।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮০-তে দ্বিতীয় এবং ১৯৮৯ ‘ক’ প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। এর লোকসংখ্যা বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ। আয়তন প্রায় ৩৮ দশমিক ৩৬ বর্গকিলোমিটার। পৌরসভার মোট ওয়ার্ড স্যংখ্যা ৯টি এবং মহল্লা ৫৬টি।

জানা গেছে, পৌরসভার ২০টি প্রধান সড়কসহ পাড়া-মল্লার ভেতর দিয়ে আরও ৮০টির বেশি সড়ক আছে। এসব সড়কের ১৩০ কিলোমিটার অংশ পাকা। আধা পাকা (ইট বিছানো) রয়েছে আরও ৪০ কিলোমিটার অংশ। কাঁচা রাস্তা প্রায় ১২০ কিলোমিটার। শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড-আলুপট্টি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। সড়কটির ইট, বালু ও খোয়া উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ডিগ্রি কলেজ-থানা মোড় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার পুরোটাই ইট-খোয়া উঠে গেছে। জনকল্যাণ মোড় থেকে ইদুর বটতলী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের পুরো অংশজুড়েই ইট-বালু, ঢালাই ও বিটুমিন উঠে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ আর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

তাজের মোড়-বিডিআর ব্রিজ সড়ক, বটতলী মোড়-বাইপাস সড়ক, তাজের মোড়-বউবাজার, ব্রিজের মোড়-কালিতলা, জনকল্যাণ মোড়-দুর্গাপুর, বাটার মোড়-গোস্তহাটির মোড়-কালিতলা, সুলতানপুর-লস্করপুর, পলিটেকনিক্যাল মোড়-আরজি নওগাঁ সড়কের অবস্থাও বেহাল। এমনকি পৌরসভার সামনের রাস্তারও একই অবস্থা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌরবাসীর অভিযোগ, এতো বছর পরেও পৌরসভায় প্রকৃত নাগরিক সুবিধা তৈরি হয়নি। ‘ক’ শ্রেণির এই পৌরসভার উন্নয়নে তেমন কোন পরিকল্পনা তৈরি হয়নি। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করেও সেবা পাচ্ছেন না পৌরবাসী।

এরমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো- ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক নাই, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নাই, স্যুয়ারেজ লাইন নাই, পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নাই, সিসি ক্যামেরা নাই, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নাই, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়রে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ফলে পৌরবাসীর ক্ষোভ দিন দিন বেড়েছে। পৌরবাসী বলছেন, প্রতিবার নির্বাচনের আগে পৌরসভার মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা নানা সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দেন। বছরের পর বছর গেলেও ভালো কোনো উদ্যোগ চোখে পরেনি। বিভিন্ন সময় সমাধান চেয়ে এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধরনা দিলেও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

কালিতলা এলাকায় রিকশা চালক মনোয়ার হোসেন বলেন, শহরে এমন কোনো রাস্তা নেই, যেখানে ভাঙাচোরা নাই। রিকশা চালাতে গিয়ে অনেক সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। কবে এসব রাস্তাঘাট ঠিক হবে। ইদুরবটতলীর বাসিন্দা জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভা হলেও আমরা নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটের আগে নানারকম সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris