নীলফামারীর ডোমারে স্কুল ছাত্রের আরিফ হোসেন (১৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. কহিনুর ইসলাম ওরফে রুবেল (৪০) ও মো. আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৪০)। সিআইডি জানায়, ১৯ আগস্ট স্কুলছাত্র আরিফ তার বাবার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে আরিফকে খুন করে যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠা রুবেল ও আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর বলেন, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আরিফ নিখোঁজ হয় ১৯ আগস্ট। এরপর নিখোঁজ আরিফের লাশ পাওয়া যায় ২৬ আগস্ট। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, ১৯ আগস্ট রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে যাত্রীবেশে আরিফের অটোরিকশায় উঠে রুবেলসহ দু’জন। বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করে নির্জন স্থানে যাওয়ার পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা বলে আরিফকে অটোরিকশা থামাতে বলে তারা। রিকশা থামালে রুবেল ও তার সহযোগীরা আরিফকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আরিফ বাঁধা দিলে তাকে মারধর করতে থাকেন তারা। একপর্যায়ে আরিফকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মরিচের শুকনা গাছ দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরে চুরি করা অটোরিকশাটি রুবেল তার এক আত্মীয়ের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।এফএনএস