বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার

পরীক্ষা দেয়া হলো না জিনারুলের

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি
ঘড়িতে সকাল ১১ টা। পরীক্ষার্থীরা সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে গেছে। অথচ একজন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে কান্না করছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্ত্তিক (কারিগরি) বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ দৃশ্য দেখা গেল। ওই পরীক্ষার্থীর নাম জিনারুল ইসলাম। সে উপজেলার বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের এসএসসি শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে জিনারুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। সে জানায়, নির্ধারিত সময়ে সে তাঁর প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল। পরে তাকে প্রবেশ পত্র প্রদান করা হয়নি। এরই মধ্যে ওই অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের কারণে বহিস্কৃত হয়। নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গেলে তার প্রবেশপত্র কলেজে নেই বলে জানায়। বহিস্কৃত অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশ পত্র দেওয়া হবে মর্মে জানায়। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালেও সে প্রবেশ পত্র হাতে পায়নি। এজন্য তাঁর সকল বন্ধুরা পরীক্ষার রুমে ঢুকে গেলেও সে কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে কান্না করছিল।

 

জিনারুল আরো জানায়, তাঁর বাবা একজন ভ্যান চালক। সে একমাত্র ছেলে। পরিবারের অর্থ কষ্ট ঘোচাতে সে নিজেও পড়াশোনার পাশাপাশি নানা কাজ করে অর্থ উর্পাজন করে। তাঁর ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করে ছোট্ট একটা চাকুরি করে হলেও পরিবারের হাল ধরবে, ভ্যান চালক বাবার কষ্ট লাঘব করবে। অথচ অধ্যক্ষের কারণে সে পরীক্ষাতেই অংশগ্রহণ করতে পারলো না। তাঁর ফরম পূরণের টাকা বহিস্কৃত অধ্যক্ষ নুরুল আমীন বোর্ডে জমা না করায় সে প্রবেশপত্র হাতে পায়নি। বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কাওসার শামসুজ্জামান জানান, জিনারুল ইসলাম একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল। সে বহিস্কৃত অধ্যক্ষের কাছে ফরম পূরণের টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ফরম পুরণ না করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

 

এজন্য জিনারুল পরীক্ষা দিতে পারছেনা। ওই অধ্যক্ষকে নানা অনিয়মের কারণে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ গত ৩ জুলাই সাময়িক বহিষ্কার করেছে। বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের বহিস্কৃত অধ্যক্ষ নুরুল আমীন বলেন, আমি বহিষ্কার হবার পর থেকে আর কলেজে যাইনি। ওই শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। তাকে আমি প্রবেশপত্র দেবো এরকম কখনও বলিনি। পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র বুঝিয়ে দেওয়া নতুন অধ্যক্ষের দায়িত্ব, আমার না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমরা অবগত হয়েছি। এখন তাঁর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর উপায় নেই। তবে ওই শিক্ষার্থী চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris