এফএনএস : গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। লাখো সেনা, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, কামান-সহ মহড়া। গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই সামরিক মহড়া। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যথেষ্ট উত্তেজনা আছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কও ভালো নয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা চলবে। কেন মহড়া? গত মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া যেভাবে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে, তাতে এই সামরিক মহড়া খুবই জরুরি। করোনার কারণে গত দুই বছরে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া বড় আকারে হয়নি। এবার হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রসম্ভার ধ্বংস করতে হবে। করলে তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে। উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে এই সামরিক মহড়ার নিন্দা করেছে। তারা জানিয়েছে, এটা উত্তর কোরিয়া আক্রমণের মহড়া হচ্ছে। গত সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়া দুইটি ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করেছে। এই বছর তারা প্রচুর অস্ত্রপরীক্ষা করেছে। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া মিলে উত্তর কোরিয়াকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, তারা যেন সপ্তম পরমাণু পরীক্ষা না করে। মহড়ায় কী হবে? মহড়ার জন্য ২৮ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। তারা যৌথ আক্রমণের মহড়া করবে। কী করে ফ্রন্টলাইনে সেনার সংখ্যা বাড়ানো যায়, তার মহড়া হবে এবং কীভাবে বিপক্ষের অস্ত্রশস্ত্র ধ্বংস করা যায়, তারও প্রশিক্ষণ হবে। মহড়ায় যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ, কামান ব্যবহার করা হবে।