আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ সরকারি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গুদাম চত্ত্বরের পরিপক্ক বড় সাইজের ৩টি মেহেগুনি ও ১টি শিশু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ২৫ জুলাই গাছ অপসারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগে গাছ কেটে পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘটনা প্রকাশের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বনবিভাগের ভাষ্য, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত গাছ কাটা দন্ডনীয় অপরাধ, আর অপরাধ ছোট-বড় যাইহোক আগে অপরাধের বিচার হতে হবে। এই প্রথম আগে গাছ কেটে পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে, এই গাছ কাটার বিচার না হলে, অন্যরাও আগে গাছ কেটে পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে উৎসাহী হবে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই শনিবার রাতের আঁধারে এসব গাছ কাটা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকালে বহিরাগত কয়েকজন কাটা গাছ পাচারের চেস্টা করলে এলাকাবাসি ঘটনা জানতে পারে। এসময় তারা গাছ রেখে কৌশলে সটকে পড়ে। এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসির মাঝে চরম অসন্তোসের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছে। কামারগাঁ বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, এর আগেও এই কর্মকর্তা গুদাম চত্ত্বর থেকে গোপণে পুরাতন কাঠ বিক্রি, অফিস কক্ষে বসে মাদক সেবন ও রাঁতের আঁধারে উন্নতমাণের চাল গুদাম থেকে বের করে নিম্নমাণের চাল ঢোকানোর গুঞ্জন উঠে। এবিষয়ে জানতে চাইলে কামারগাঁ খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,বনবিভাগের লোকজন এসব গাছ কাটার জন্য চিহ্ন করে গেছেন।
তিনি বলেন, ডিসিফুড স্যারের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হয়েছে, গাছ না কাটলে গুদামের ভিতর রাস্তা নির্মাণ করা যাচ্ছে না, পরে গাছ অপসারণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এবিষয়ে রাজশাহী জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ডিসিফুড) বলেন, তিনি কি গাছ কাটার অনুমতি দিতে পারেন, তিনি কাউকে গাছ কাটার অনুমতি দেননি, কেউ কাটলে সে দায় তার। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) আজহারুল ইসলাম বলেন, তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না, গাছ কেনো কাটলেন সেটা তিনি বলতে পারবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ্ বলেন, টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়া গাছ কাটার কোনো সুযোগ নাই, কেউ কাটলে সেটা দন্ডনীয় অপরাধ।