শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘হেফাজতের মামুনুল হক রিসোর্টে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন’

Paris
Update : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণের মামলায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিয়ের আশ্বাসে ওই নারীকে মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতকে জানান তারা। গতকাল রোববার বিকালে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাক্ষীরা আদালতকে বলেন, সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে ঘটনার দিন মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদলতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া। রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুজন সাক্ষী দিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ রনি ও রতন মিয়া।

সাক্ষীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে মামুনুল হক এক নারী নিয়ে আটক হওয়ার ঘটনা ফেসবুক লাইভে দেখতে পেয়ে তারা সেখানে উপস্থিত হন। তখন মামুনুল হককে তারা জিজ্ঞাসা করেছে এই নারী কে? এই প্রশ্নে এলোমেলো উত্তর দিয়েছেন। মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনি কে এবং এখানে কেন এসেছেন। তখন ওই নারী জানান, আসামি মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আদালত এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মোট সাক্ষী ৪৩ জন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, চার্জশিটে ১১, ১২, ১৩, ১৪ নং সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা ছিল।

চার জনের মধ্যে তিন জন সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন। এর মধ্যে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া সাক্ষ্য দিয়েছেন। অপর সাক্ষী পারভেজ মিয়া হাজিরা দিলেও তার সাক্ষ্য হয়নি। তিনি বলেন, সোহাগ রনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেছেন, ঘটনার দিন মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে রিসোর্টে এসেছেন সেই ঘটনা তিনি ফেসবুক লাইভে দেখে সেখানে যান। তবে কোন আইডি থেকে লাইভ দেখে সেখানে গিয়েছেন তা তিনি বলতে পারেনি। আমরা মনে করি, এটা সাজানো মামলা। এই মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনও মিল খুঁজে পাচ্ছি না। কোর্ট পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। দুপুর ১টায় আদালতে তোলা হয়। দুপুর ২টায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করে। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যায়। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হক দাবি করেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris