এফএনএস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ উভয় প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই সমুদ্রসীমা সমস্যা সমাধান করেছে ও যৌথভাবে সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গত বৃহস্পতিবার মহাসমুদ্র রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জাতিসংঘ দ্বিতীয় মহাসাগর সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১৪ এর সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর, সমুদ্র এবং সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার করুন। ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মোট প্রায় ৮দশমিক ৮ শতাংশ এলাকাকে সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০১৯ সালে তার জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। সরকার বাংলাদেশ জাহাজ রিসাইকেল আইন ২০১৮ সংশোধন করেছে। একই সঙ্গে ২০২৩ সালের মধ্যে হংকং কনভেনশন মেনে চলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সক্ষমতা উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বিতরণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সাগরের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং মানব সম্পদের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ক্ষমতার এই বৈষম্যগুলি অবশ্যই সমাধান করা উচিত। জাতিসংঘ লক্ষ্য মাত্রা অনুসারে ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত শর্তাবলীতে সামুদ্রিক বিজ্ঞান এবং সামুদ্রিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিনিধি দলে আছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম, পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান, বিশ্বের সামুদ্রিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ, প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর পূর্বাভাস ও প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং সমুদ্রের টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সামুদ্রিক বিজ্ঞানকে গুরুত্ব দেন।