শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্লোগানে জয় বাংলার সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২

এফএনএস : বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ শব্দযুগল অন্তর্ভুক্ত করতে গেজেট সংশোধনের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়। লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নোটিশে গেজেট সংশোধন করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জয় বাংলার সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় স্লোগানে অন্তর্ভুক্ত করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখনই ‘জয় বাংলা’ উচ্চারিত হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারিত হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য এ স্লোগান ছিল উৎসাহমূলক। জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু একটিই স্লোগান; এটি পৃথক কোনো স্লোগান নয়। তিনি বলেন, হাইকোর্টের একটি রায়ে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হয়েছে।

 

এটিকে এখন আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশ পাওয়ার পরে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিলে এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে। গত ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেদিন বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে শিগগিরই সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব শফিউল আজিমের স্বাক্ষরিত গত ২ মার্চের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, সাংবিধানিক পদাধিকারী ব্যক্তি, দেশ ও দেশের বাইরে কর্মরত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব জাতীয় দিবস উদযাপন এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বা সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) শেষে এবং সভা-সেমিনারে বক্তব্যের শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করবেন।

 

২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানর ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাই মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় স্লোগান। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। রুলে ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওইদিন রিট শুনানিতে ড. বশির বলেছিলেন, জয় বাংলা হচ্ছে আমাদের জাতীয় প্রেরণার প্রতীক। পৃথিবীর ৬০টি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য যে আমরা আমাদের চেতনার সেই ‘জয় বাংলা’ স্বাধীনতার এতদিন পরেও জাতীয় স্লোগান হিসেবে পাইনি। এ সংক্রান্ত রুল শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১০ মার্চ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris