শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশে তৈরি সফটওয়্যারের বাজার ক্রমাগত বড় হচ্ছে

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০২২

এফএনএস : দিন দিন বড় হচ্ছে এদেশের সফটওয়্যারের বাজার। বর্তমানে এদেশ থেকে বিশ্বের ৮০টি দেশে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রফতানি করে। পাশাপাশি দেশীয় সফটওয়্যারের বাজারও শক্তিশালী অবস্থানে যাচ্ছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এখন দেশে তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। অন্যান্য সফটওয়্যারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে দেশে বিলিং সফটওয়্যার (আইজিডাব্লিউ, আইসিএক্সের বিল তৈরির জন্য) তৈরি হচ্ছে এবং রফতানিও হচ্ছে। সম্প্রতি বিলিং সফটওয়্যারের দেশীয় বাজার বড় হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া আফ্রিকার বাজারও বড় হতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন বাজার আফ্রিকাতে এদেশে তৈরি সফটওয়্যারের প্রবেশ আরো বাড়বে। বর্তমানে ভারত, নাইজেরিয়া, ঘানা ইত্যাদি দেশে বিলিং সফটওয়্যার রফতানি হয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশীয় কোম্পানির তৈরি করা বিলিং সিস্টেমস ব্যবহার করছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেখানে প্রতিদিন সব আইসিএক্স’র সিডিআর (কল ডিটেইল রেকর্ড) প্রসিসিং করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ মিলিয়ন সিডিআর প্রসেসিং করা হচ্ছে। তাছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) বিলিং সফটওয়্যার কিনতে যাচ্ছে। সেজন্য টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছে। করেছে। দেশি বা বিদেশি যেসব প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল চাওয়ার মধ্যে সফটওয়্যারটি দেবে তাদের কাছ থেকেই তা নেয়া হবে। ৪টি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশ নিয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানও আছে। বিটিসিএল আইসিএক্স, আইজিডাব্লিউ আইওএস ও এএনএস গেটওয়ের জন্য সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিংয়ের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে ওই সফটওয়্যার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে এদেশ থেকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রফতানি করা হয়েছে। আশা করা যায় চলতি অর্থবছরে তা আরো বাড়বে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার ও সেবা পণ্যের রফতানির লক্ষ্য রয়েছে। একসময় সফটওয়্যার আমদানিনির্ভর থাকলেও এখন তা দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং রফতানিও হচ্ছে। মূলত দু’ভাবে সফটওয়্যারের বাজার বৃদ্ধি হয়। এক. অর্গানিক গ্রোথ, দুই. পুশ গ্রোথ। আর পুশ না করলে বাজার বড় হবে না। দেশীয় প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমস, স্পেক্ট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম, বি-ট্র্যাক সলিউশন্স লিমিটেড ও আইবিসিএস-প্রাইমেক্স ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ২০১২ সাল থেকে বিলিং সফটওয়্যার তৈরি করছে। স্থানীয় কোম্পানি সক্ষমতা থাকায় আইজিডাব্লিউ, আইসিএক্স’র সফটওয়্যার সেবা প্রদান করছে। এদিকে সফটওয়্যার কেনা প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, এটা অবশ্যই সুখবর। যে সফটওয়্যার আমরা তৈরি হয় তা যেন বিদেশ থেকে আনা না হয়। বিলিং সফটওয়্যারের মতো সফটওয়্যার দেশেই তৈরি হচ্ছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রফতানি হচ্ছে। আশা করা যায় বিলিং সফটওয়্যারও বিদেশে রফতানি হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris