শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চাঁপাই  থেকে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১৩ জুন থেকে

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০২২
চাঁপাই থেকে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে ১৩ জুন থেকে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে চলতি বছরের জন্য আগামী ১৩ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন উদ্বোধন করা হবে। গতকাল বুধবার (০৮ জুন) দুপুরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, চলতি বছরে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালুর আগে রেলওেয়ের সাথে স্থানীয় প্রশাসন, আমচাষী, ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনায় তারা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি চালু করার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন। মন্ত্রনালয়ে তা প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু কিছু কাজ বাকি থাকায় প্রথম সপ্তাহে ট্রেনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। আগামি ১৩ জুন সোমবার থেকে এ ট্রেনটি চলাচল করবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে রাজধানীগামী ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি চালু হয় ২০২০ সালের ৫ জুন। ওই বছরের ২১ জুলাই পর্যন্ত চলা ম্যাংগো ট্রেনে আম পরিবহন হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮২ কেজি। এতে রাজস্ব আয় হয় ২ লাখ ১১ হাজার ৪৫৮ টাকা।

দ্বিতীয় বারের মতো ২০২১ সালের ২৭ মে ট্রেনটি চালু করা হয়। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন। ট্রেনটি ১৬ জুলাই পর্যন্ত আম পরিবহন করে। গত বছর আম পরিবহন করা হয় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৩ কেজি। রাজস্ব আদায় হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯২০ টাকা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাষ্টার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, গত দুই বছর ধরে কম টাকায় আম পরিবহন করে আসছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। চলতি বছরেও ট্রেনটি চালু হবে। আগামী ১৩ জুন সোমবার থেকে এ ট্রেনটি আম পরিবহন করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এখনও আমাদের পরিবহনের খরচের কথা বলেনি।তবে গত দুবছর ধরে ১ টাকা ৩০ পয়সা কেজি দরে আম পরিবহন করছে ট্রেনটি। আশা করা যায় এবারও এমনই খচর থাকবে। ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় রাত ২টার দিকে পৌঁছাবে। এক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে তরতাজা সতেজ আম পৌঁছানো সম্ভব হবে। যানজট ও উঁচু-নিচু জায়গা না থাকায় আমেরও কোনো প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।  গতবারে মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিদিন দুপুর ২টায় রহনপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় আমবাহী ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছায়। আবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে রহনপুরে পৌঁছায় বেলা ১১টায়। প্রতি বগির ক্যারিং ক্যাপাসিটি ৪৩ মেট্রিক টন হলেও আম বহন করা হয় ৩০ মেট্রিক টন। শুধু আম নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও ট্রেনে পরিবহন হয় সেবার। পশ্চিমাঞ্চল রেল সূত্রে জানা যায়, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ঢাকা এলেও ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জে থামবে না। রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আমনুরা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আম পরিবহনের ভাড়া ছিল এক টাকা ৩০ পয়সা। অন্যদিকে, রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আমে ভাড়া এক টাকা ১৭ পয়সা। এই ট্রেনে মোট পাঁচটি বগি থাকে। প্রতিটি বগির ৪৩ টন ধারণক্ষমতা রয়েছে। তবে আম ভালো থাকার দিক বিবেচনা করে ১৫০ টনের মতো আম পরিবহন করা হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris