বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা নিয়ামতপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড রাজশাহীতে নারীর মোবাইল ফোন-ব্যাগ ছিনতাই, তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার

রাবিতে বেড়েছে খাবারের দাম, বাড়েনি মান

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

শাহজালাল তুহিন, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরে থাকা হোটেলগুলাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে চড়া মূল্যে খাবার বিক্রি করা হচ্ছে । তবে বাড়েনি খাবারের গুণগত মান। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে কোনোরকম কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ডাইনিং ও ক্যান্টিনে দাম না বাড়লেও কমেছে খাবারের মান ও পরিমাণ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সব খাবারের দাম বাড়িয়েছে দোকান মালিকরা। দোকানগুলোতে পরোটা, সিঙ্গাড়া, পুরি সাত টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যা আগে ৫-৬ টাকা বিক্রি করা হতো। ঈদের আগে খিচুড়ি ও ভাত যথাক্রমে ১৫ ও ১০ টাকা করে প্লেট বিক্রি হলেও, এখন তা ২০ ও ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের তরকারিতেও রাখা হচ্ছে চড়া দাম।
ঈদের পর থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে হোটেল গুলাতে সব কিছুই চড়া দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতা। তার পাশেই স্টেশন বাজারে ভাতের প্লেট ১০ টাকা বিক্রি করা হলেও তিনি বিক্রি করছেন ১৫ টাকা প্লেট। হাফ প্লেট ভাতের দাম আগের মতো ৫ টাকা করে রাখা হলেও তার পরিমাণ কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এক পিস মাছের দাম আগে যেখানে রাখা হতো ৩৫-৪০ টাকা, এখন ৫৫-৬০ টাকা রাখা হচ্ছে। মুরগির ক্ষেত্রেও ১০-১৫ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ক্যাম্পাসের বটতলার মিজানুর রহমানের দোকানে এখনো সব কিছুর দাম আগের মতোই আছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তেলের দামসহ কিছু দ্রবের দাম বেড়েছে কিন্তু শাকসবজি ও চালের দাম আগের মতোই আছে। দোকানিরা খাবারে দাম বাড়ালেও গুণগত মান ও পরিমাণ বাড়ায়নি। এতে করে বিভিন্ন সময়ে দাম ও মান নিয়ে দোকানিদের সঙ্গে বাকবিণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে দাম না বাড়ালেও খাবারের গুণগত মান ও পরিমাণ আগের তুলনায় অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা পেট ভরে খাবার খেতে পারছে না। রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিক আদনান বলেন, ক্যাম্পাসে অবস্থানরত প্রায় সব দোকানিরাই ‘দ্রব্যমূল্য বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়েছে । খাবারের মূল্য নির্ধারিত না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে তারা। তবে ক্যাম্পাসে বটতলার মিজানুর রহমান ভাইয়ের দোকানে যে ভাত ১০ টাকা প্লেট, টুকিটাকিতে সে ভাত ১৫ টাকা। দুটি পরোটা আর ভাজি ২৪ টাকা যা আগে ১৫ টাকায় পাওয়া যেত। এত চড়া দামে খাবার কিনে খাওয়া আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই কষ্টকর।’ দোকানগুলোতে প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিংয়ের অভাবে দোকানিরা ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছে জানিয়ে গণযোগাযোগ সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম ধ্রুব বলেন, প্রশাসন যদি নিয়মিত দোকানগুলো মনিটরিং করতো তাহলে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই রেহাই পেতো। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জন্য একবেলায় খাবারে ৫০-৬০ টাকা খরচ পড়ে যায়। যা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।’
ক্যাম্পাসের বটতলার হোটেল মালিক মিজানুর রহমান বলেন, সবাই খাবারের দাম বাড়িয়েছে। ক্যাম্পাসের প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী দূর থেকে এসেছে। তাদের কথা চিন্তা করে খাবারের দাম বাড়ায়নি। সবাই ভাতের দাম ১৫ টাকা করে বিক্রি করছে। আমি এখনও ১০ টাকা করে নিচ্ছি। এছাড়াও মাছ ২০, রান্না ডিম ২০, সবজি ৫ ও মুরগী ১৫, ২০ এবং ৩০ করে নিচ্ছি। তবে কম লাভ করেও শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্ট করে আমি আনন্দিত।
টুকটাকি চত্বরের মনির নামের হোটেল মালিক বলেন, ‘দামের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে আমাদের লোকসান হলেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে হয়। লোকসান করেও আমরা ব্যবসা করছি। তবে দাম বাড়ালেও আগের মতো আমাদের ব্যবসা হচ্ছে না। আগে শিক্ষার্থীরা বেশি খরচ করতো। এখন দাম বাড়ার ফলে তারাও খরচ কমিয়ে দিয়েছে। আমাদের খাবারের মান ভালো তবুও আমরা আগের মতো ব্যবসা করতে পারছি না।’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ‘আমি এরইমধ্যে বিষয়টি জেনেছি। ঈদের আগে খাবারের দোকানগুলোতে মূল্য তালিকা করে দেওয়া হয়েছে তা অনেকেই মানছে না। প্রক্টোরিয়াল টিমকে নিয়ে আমরা আলোচনায় বসবো। আলোচনা শেষে আমরা দোকানগুলোতে অভিযান চালাবো এবং তা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris