শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝড়েপড়া আম বিক্রি হচ্ছে তিন টাকা কেজি

Paris
Update : বুধবার, ১৮ মে, ২০২২

দেলোয়ার হোসেন রনি, গোমস্তাপুর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা জুড়ে বিক্রি হচ্ছে ঝড়েপড়া আম। এসব ছোট মাঝারি ধরনের অপরিপক্ক আম ৭০-৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মকরমপুর ব্রিজ, কাঞ্চনতলা, বোয়ালিয়া বাজার, ঘাটনগর, মিনিবাজার এলাকায় শত শত মণ আম কিনে জড়ো করেছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এর আগে সোমবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় হয়। এ সময় ব্যাপক আম ঝরে পড়ে।

উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বৈরতলা গ্রামের আজাদ আলী বলেন , গতকালের ঝড়ে সাত বস্তা আম কুড়িয়েছি। ১২০-১৩০ টাকা দরে এক বস্তা আম বিক্রি করলাম। আড়াই থেকে ৩ টাকা কেজি করে এসব আম বিক্রি করলাম। রহনপুর পৌর বাসিন্দা ও বহিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলী জানান, গতকালের ঝড়ে আমার উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। আমও পড়েছে অনেক। আমি ৫ মণ আম কুড়িয়েছি। বোয়ালিয়া বাজার এলাকার জসিম উদ্দিন বলেন, তিনি রাতে ১০ মণ আম কুড়িয়েছিলেন। বাড়ির ছেলে-মেয়েরা রাতের ঝড়ে বাগানে পড়ে থাকা আম কুড়িয়েছে। বাড়িতে বস্তা ভর্তি করে রেখেছি। বিক্রি করবো বলে পাইকার খুঁজছি। খুঁজতে খুঁজতে মকরমপুর ব্রিজ পর্যন্ত চলে এলাম। এখানে পাইকারের সাথে কথা হয়েছে। ৩ টাকা কেজি দরে ১৫০-১৬০ টাকা বস্তা করে কিনে নিবে।

মকরমপুর ব্রিজের আম ব্যবসায়ী আব্দুর সামাদ বলেন,আমার বাসা চৌডালা। মঙ্গলবার ভোর থেকে প্রায় এক ট্রাক আম কিনেছেন। এসব আমের দাম পড়েছে ৭০-৮০ টাকা মণ অর্থাৎ এক বস্তাতে প্রায় ৪৫-৫০ কেজি করে রয়েছে। বস্তা প্রতি ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছি। ইতিমধ্যে এক ট্রাক ৩০০ বস্তা আম কিনে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছি।আরো আম ক্রয় করতেছি।আরো এক ট্রাক আম পাঠাবো বলে এখনো আম কিনতে আছি। তিনি আরও বলেন, তার কেনা আম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। সেখানে এক মণ আম বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা মণ দরে। কাঞ্চনতলা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বজলুর রহমান জানান, ৬২ বছরের মধ্যে এরকম ঝড় আমার জীবনে আরো কখনো দেখিনি।

এই কালবৈশাখী ঝড়ে গাছপালার ডাল-ডুল ভেঙ্গে গেছে। অনেক ঘর-বাড়ির টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এই ইউনিয়নে এ ঝড়ে ১২ আনা আম পড়ে গেছে। আমিও আম কিনে ঢাকা পাঠালাম। গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার মুঠোফোনে জানান, সোমবার রাতে সমগ্র উপজেলা জুড়েই ঝড় হয়েছে। আমের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নে প্রচুর আম পড়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি। প্রতিটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি ক্ষতি নিরূপন করার জন্য।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris