চারঘাট প্রতিনিধি : চিনি কলের চিটা গুড়, পচা সিরা, পচা আটা এবং রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল গুড়। সেই গুড় দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করা হতো। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খোঁজ পেয়েছে সেই কারখানার। কারখানা থেকে জব্দ করা হয়েছে তৈরিকৃত ৪০ মণ ভেজাল গুড়। গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পৌরসভাধীন দিড়িপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় কারখানা মালিক রাজু আহমেদ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে চারঘাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পলাতক রাজু প্রায় বছর খানেক আগে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ভেজাল গুড়ের কারখানা। চিনি কলের গোখাদ্য চিটা গুড়, পচা সিরা, পচা আটা এবং এর সঙ্গে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করছিলেন ভেজাল গুড়। তাঁর কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ৪০-৫০ মণ ভেজাল গুড় তৈরি করা হতো। সেই গুড় রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে বিক্রি করা হতো। স্থানীয়ভাবে গোপনে এই ভেজাল গুড় তৈরির খবর জেনে চারঘাট থানা পুলিশ সোমবার দিবাগত রাত আড়াই টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।

মাঝরাতে তখনও গুড় তৈরির কাজ চলছিল কারখানায়। এসময় জব্দ করা হয় তৈরিকৃত ৪০ মণ ভেজাল গুড় এবং ক্ষতিকর রংসহ গুড় তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঝরাতে ওই গ্রামের সবাই যখন ঘুমে তখন রাজু তাঁর বাড়িতে কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি করছিল। পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে সে পালিয়ে যায়। ৪০ মণ ভেজাল গুড়সহ গুড় তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।