শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপচয়-চুরি বন্ধে গ্যাসখাতকে অটোমেশন করার উদ্যোগ

Paris
Update : রবিবার, ১৫ মে, ২০২২

এফএনএস : অপচয় ও চুরি বন্ধে গ্যাসখাতকে অটোমেশন করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ওই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পেট্রোবাংলা একটি প্রতিবেদন জ¦ালানি বিভাগে জমা দিয়েছে। এখন জ¦ালানি বিভাগের সম্মতি দিলেই পরামর্শক নিয়োগ দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। বর্তমানে সিস্টেম লসের বেশিরভাগই গ্যাস চুরি। নানা প্রচেষ্টায় ওই চুরি ঠেকানা যাচ্ছে না। আবার এসব নিয়ে কথা বললেও যাদের স্বার্থে আঘাত লাগে তারা নাখোশ হয়। অবৈধ গ্যাস লাইন বাণিজ্যের সাথে তিতাস গ্যাসের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী যেমন জড়িত,

তেমনি অনেক ক্ষেত্রে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কর্মীরা অবৈধ গ্যাসলাইন বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে মার খেয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টিই যদি যন্ত্রের হাতে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে আর চুরি করার সুযোগ থাকবে না। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সবার আগেই গ্যাসের অটোমেশন দরকার ছিল। কারণ খনি থেকে গ্যাস তোলার পর তা গ্রিডে দেওয়া হয়। আর গ্রিড থেকে বিতরণ কোম্পানির লাইনে দেয়া হয়। এখানে বিতরণ কোম্পানি আবার গ্রাহকের আঙ্গিনায় পৌঁছে দিয়ে বিল আদায় করে।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই ন্যাশনাল গ্রিড থেকে গ্যাস নেয়ার পর বিভিন্ন বিতরণ এলাকায় মিটার বসানো থাকে না। ফলে বিলের আকার থেকে ওই এলাকার গ্যাসের ব্যবহার নির্ধারণ করা হয়। অটোমেশন হলে কোথায় কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে তা এক জায়গাতে বসেই দেখা যাবে। ফলে বৈধ গ্রাহক এবং তাদের গ্যাস ব্যবহারের পরিমাণ নির্ণয় করা হলেই গ্যাস চুরির বিষয়টি ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে অবৈধ গ্রাহক চিহ্নিত করাও সম্ভব হবে। সূত্র জানায়, গ্যাস খাত অটোমেশন হলে গ্যাস উত্তোলন, ব্যবহার এবং বিল আদায়ের চিত্র কোম্পানির এক্সিকিটিভ সব সময় তার স্ক্রিনে দেখতে পাবে।

ফলে সহজেই বোঝা যাবে কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে আর কী পরিমাণ বিল পাওয়া যাচ্ছে। তাতে করে ঘাটতির অবস্থাও বোঝা যাবে। কারণ এখনো ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে বিপুল পরিমাণ গ্যাস অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে কোনোভাবেই তিতাসের সিস্টেম লস ৩ থেকে ৫ ভাগের নিচে নামনো যাচ্ছে না। সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। তবে এখন ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তার মধ্যে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সিস্টেম লসের কারণে চুরি হচ্ছে। এটিই হচ্ছে গ্যাস খাতের সব চাইতে বড় সঙ্কট।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris