বৃহস্পতিবার

১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালাস চেয়ে খালেদার আপিলের শুনানি চায় দুদক

Paris
Update : শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২

এফএনএস : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল আবেদনের ওপর শুনানির উদ্যোগ নিতে চায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান এমন তথ্যই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয় কি না, তা দেখতে আমরা আরও কদিন অপেক্ষা করবো। পর্যবেক্ষণের পর আমরা শুনানির জন্য আদালতে যাবো।

খুরশীদ আলম বলেন, দুদকের মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও তার আইনজীবীরা আপিল শুনানির কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। কেন নিচ্ছেন না, তাও জানি না। আমরা চিন্তা করেছি এ মামলার লিভ টু আপিলের শুনানি করবো। শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে জানালেও কবে নাগাদ আপিল শুনানি হবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে জানাননি খুরশীদ আলম খান। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রায় দুইশ’ পৃষ্ঠার এ লিভ টু আপিল আবেদন করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম এ সদস্য ওইদিনই জানান, আপিল আবেদনে জামিনও প্রার্থনা করেছেন খালেদা জিয়া। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আপিলে বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের শুনানির সুযোগ না দিয়ে হাইকোর্ট একতরফাভাবে রায় দিয়েছেন। যা অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একইসঙ্গে এ মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদার করা আপিল খারিজ করেন উচ্চ আদালত। এছাড়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় খালেদার কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এর আগে বহুল আলোচিত এ মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত।

রায় ঘোষণার পর ওইদিনই খালেদাকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। কারাবন্দি অন্য দুই আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিন আসামি হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ঢাকার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ৫ বছরের সাজা থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। বিপরীতে সাজার মেয়াদ বাড়াতে রিভিশন আবেদন করে দুদক। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঘোষিত রায়ে খালেদার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris