শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

চারঘাটে ৩ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাটে তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে গাছ থেকে ঝরে পড়া আম। আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় আম ঝরে পড়ছে। ঝরে পড়া সেই আম বাগান থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি আম ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে ভ্যানগাড়ি নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ঝরে পড়া আম কিনছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা তিন টাকা কেজি দরে আম কিনছেন।

সেই আম বানেশ্বরসহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে পাইকারি দামে চার টাকা কেজিতে বিক্রি করবেন। অনেকে আবার এই আম বেশি লাভের আশায় বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাক করে ঢাকায় পাঠাচ্ছেন। স্থানীয় আমচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৈশাখের চড়া রোদে আমের বোঁটা নরম হয়ে যায়। এরপর একটু বাতাস হলেই ঝরে পড়ে। আমাদের গ্রামের সাধারণ মানুষ আম কুড়িয়ে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।

উপজেলার রায়পুর গ্রামের আমবাগানের মালিক ছদর উদ্দিন বলেন, এবার আবহাওয়ার কারণে উপজেলাজুড়ে আমের মুকুল কম এসেছিল। এ জন্য বাগানগুলোতে আমও কম এসেছিল। এরই মধ্যে প্রখর রোদের কারণে একটু বাতাসে আম ঝরে যাচ্ছে। ছোট ছেলেমেয়েরা সেই আম কুড়িয়ে তিন টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। একই এলাকার আমবাগানের প্রহরী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমবাগান পাহারা দিই। মালিকেরা মাচা তৈরি করার জন্য বলেছেন। সেই মোতাবেক বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য মাচা তৈরির কাজ শুরু করেছি। তবে এখন বাতাসে যে আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো কুড়িয়ে বিক্রি করছি। এসব আম তিন টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছি। বাগানমালিকেরা এগুলোর টাকা নেন না।’

উপজেলার ডাকরা এলাকার কামাল হোসেন নামে এক মৌসুমি আম ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই ঝরে পড়া আম কিনে ঢাকায় পাঠাই। গতবার এসব আম দেড় টাকা থেকে দুই টাকা দরে ক্রয় করেছি। তবে এবার বাগানগুলোতে আম কম থাকায় তিন টাকা কেজি দরে কিনছি।’ চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ উপজেলায় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমগাছ রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই এই অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। তাপমাত্রাও দিনদিন বাড়ছে। অতিরিক্ত খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমচাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি আমাদের পরামর্শ নিয়ে চাষিরা লাভবান হবেন।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris