শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো কিছু করতে চান নাঈম

Paris
Update : রবিবার, ৮ মে, ২০২২

এফএনএস : সাত টেস্টের ক্যারিয়ারের সবকটিই দেশের মাটিতে খেলেছেন দীর্ঘকায় অফস্পিনার নাঈম হাসান। মেহেদী হাসান মিরাজের ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে প্রায় এক বছর পর আবারও টেস্ট দলে ফিরেছেন এ তরুণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই বিরতি শাপেবরই হয়েছে চট্টগ্রামের ছেলে নাঈমের জন্য। তাই তো এখন তিনি বলছেন, ‘আমি এখন প্রস্ত্তত টেস্ট খেলতে। বোলিং, ব্যাটিংয়ে নিজেকে তৈরি করেছি।’ বাংলাদেশের স্পিননির্ভর আক্রমণের অংশই ধরা হয় ২২ বছর বয়সী এ অফস্পিনারকে। কিন্তু ২০২১ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজের পর নাঈমের বোলিংয়ের ধার নিয়ে কথা উঠেছিল।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২ টেস্টের চার ইনিংসে ৬ উইকেট নিলেও তাকে ব্যর্থ ধরা হয়েছে। নাঈমের মতে, তার বোলিং নিয়ে সমস্যা নেই। আঙুলে অপারেশনের পর পরই খেলতে নামায় নিজের সেরাটা দিতে পারেননি এবং দুর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশও সিরিজটা হেরেছিল। সঙ্গে বল হাতে কয়েকটি রিভিউ না নেওয়ার কারণে তার বোলিং নিয়ে ভিন্ন সুর ছড়িয়ে পড়েছে। বাদ পড়ার পর টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে বলা হয়েছিল বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাটিং নিয়েও কাজ করতে। টিম ম্যানেজমেন্টের দেওয়া কাজগুলো ঠিকভাবেই করেছেন এ তরুণ। বিসিএলে ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন। ৩ ম্যাচে ১৮৬ রান করেছেন ৩৭.২০ গড়ে এবং ১৪ উইকেট নিয়েছেন বোলিংয়ে।

মিরাজের বদলি হিসেবে সুযোগ পেলেও নিজের স্হান জাতীয় দলে পাকা করার চাপ নিয়ে সিরিজটা খেলতে চান না নাঈম। লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে আশাবাদী তিনি। পেফরার সিরিজে টার্গেট জানতে চাইলে গত শুক্রবার নাঈম বলেছেন, ‘আমি যদি সেরা একাদশে সুযোগ পাই তখন চেষ্টা করবো নিজের শতভাগ দিতে। আমার প্রসেস মেইনটেইন করতে হবে। বোলিংয়ে, ব্যাটিংয়ে প্রসেস অনুযায়ী খেলাটা জরুরি।’ টেস্ট দলে নিয়মিত হতেই হবে এমন টার্গেট নিয়ে খেলবেন না নাঈম। তিনি বলেন, ‘যদি আমি চিন্তা করি যে, না, আমাকে খুব ভালো খেলতে হবে, অনেক কিছু করতে হবে। দলে জায়গা পাকা করতে হবে, এমন চিন্তা করলে কিন্তু নিজের ওপর চাপ বাড়বে, প্রসেস অনুযায়ী খেলতে পারবো না।

আগে থেকে রেজাল্ট নিয়ে ভাবলে কিন্তু কিছুই করা যায় না।’ ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজেই শেষ টেস্ট খেলেছিলেন নাঈম। বাদ পড়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে দেওয়া বার্তা এবং নিজের বোলিংয়ের ঘাটতি নিয়ে গত শুক্রবার নাঈম বলেন, ‘আসলে বোলিং নিয়ে আমার কিছু হয় নাই। আমি যখন খেলেছি তখন আমার আঙুলে অপারেশন হয়েছিল, সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় দলে খেলে ফেলছিলাম, বোলিংয়ের শেইপটা ভালো ছিল না। ওখানে আমার সবচেয়ে বড় ভুল ছিল যে, আমরা দল হিসেবে ম্যাচ হেরেছি। কিছু রিভিউ ছিল আমি নেইনি।

ওগুলো নিলে হয়তো এমনটা মনে হতো না। চট্টগ্রামে যে দুইটা ব্যাটার রান (ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স ও এনক্রমা বনার) করছে, ওই দুইটা ব্যাটারের রিভিউ আমি পাইছি, আমি কনফিউজড ছিলাম, রিভিউগুলো নিলে হয়তো এমন হতো না।’ এ তরুণ অফস্পিনার আরও বলেন, ‘আমাকে কিন্তু বাদ পড়ার সময় বোলিং নিয়ে কিছু বলে নাই। আমাকে বলেছিল বোলিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটিংটা উন্নতি করতে। তারপর দল নিউজিল্যান্ড গিয়েছিল আমি বিসিএল খেলছিলাম, ওখানে আল্লাহর রহমতে রান করেছি।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris