শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

‘৭০ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীই কর্মজীবন নিয়ে মানসিক চাপে থাকেন’

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : করোনা পরিস্থিতির কারণে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক চাপ আর হতাশা। করোনাকালীন সময়ে এবং পরবর্তীতে কর্মসংস্থানের নিরাপত্তাহীনতা, উপযুক্ত কর্মস্থানের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি, চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, গ্রাজুয়েশন বিলম্বিত হওয়া, স্টার্টআপ প্ল্যান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টার্নশিপ সুবিধা না পাওয়াই মূলত শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ ও বিষণ্নতার মূল কারণ। সম্প্রতি করোনার প্রভাবে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা কেমন- এ সম্পর্কিত একটি গবেষণা সম্পন্ন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল গবেষক।

এ গবেষণায় দেখা যায়, ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে বিষণ্নতা এবং ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ। ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বিষণ্নতা এবং মানসিক চাপে ভুগছেন। কারণ কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা বা কর্মজীবীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ কম। যেসব শিক্ষার্থী শুধু পাঠ্যক্রমভিত্তিক পড়াশোনা করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে না। সেক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থীদের হতাশা এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের ধারণা কোভিড-১৯ কারণে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান অনিশ্চিত তাদের বিষণ্নতা তুলনামূলকভাবে বেশি।

এই মানসিক চাপ শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ মারাত্মক সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ডিপ্রেশন অ্যান্ড স্ট্রেস রিগার্ডিং ফিউচার ক্যারিয়ার অ্যামং ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ ডিউরিং কোভিড-১৯ প্যানডেমিক’ শিরোনামে এ গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন শাবিপ্রবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন। এ ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন- উপমা চৌধুরী, আহসান হাবিব শুভ্র ও সৈয়দ মো. ফারহান। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা মহামারিতে ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে মানসিক অবস্থা এবং হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না তা যাচাই করা।

তিনি বলেন, উপযুক্ত সময়ে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা এবং স্নাতক শেষ হওয়া সময়ের সঙ্গে নেতিবাচক সম্পর্কিত রয়েছে। বর্তমানে বেশিরভাগ প্রাইভেট কোম্পানি উদ্ভাবনীমূলক, সহজেই মানিয়ে নিতে পারে এমন শিক্ষার্থীদের বেশি পছন্দ করেন। তাই শিক্ষার্থীদের স্নাতক বিলম্ব হওয়ায় তাদের এই সুযোগও বিলম্ব হচ্ছে, যা তাদের অধিক হতাশা এবং মানসিক চাপে রাখছে। তবে যাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগ ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে অথবা ইন্টার্নশিপ তাদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত থাকে সেসব শিক্ষার্থীরা বাকি শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কম বিষণ্নতা এবং মানসিক চাপে ভোগেন।

প্রায় দুই বছর গবেষণা শেষে সম্প্রতি এ গবেষণাটি স্বনামধন্য একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এ গবেষণায় শাবিপ্রবিসহ দেশের ৬২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও মাস্টার্সে অধ্যয়নরত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ প্রতিরোধের উপায় নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং হতাশা থেকে মুক্ত থাকতে মিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রোগ্রাম আয়োজন করা উচিত। এই মানসিক চাপ, হতাশা বা বিষণ্নতার পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ প্রদান করতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারকে একযোগে কাজ করতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris