বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

ডিআইজি মিজানের জামিন বহাল, সাজা বাড়ানো নিয়ে রুল

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের দায়ে বিচারিক আদালতে তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহীমের আদালত ‘নো অর্ডার’ দেন। এদিন আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মিজানুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, আপিল আবেদনের ওপর ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আদালত। আমরা ‘লিভ টু আপিল’ করবো। অন্যদিকে মিজানুর রহমানের সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। শুনানিতে দুদকের পক্ষের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, তথ্য পাচার ও ঘুস লেনদেনের মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের সাজা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ এর (২) ধারায় তিন থেকে বাড়িয়ে সাত বছর কেন করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্টের রুলে।

মিজানুর রহমানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। তবে অর্থ পাচারের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। পরে গত ৭ এপ্রিল অর্থপাচার আইনের ৪ ধারায় অভিযোগ থেকে দেওয়া খালাসের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১০ এপ্রিল এ অভিযোগ থেকে খালাসের আদেশটি পুনর্বিবেচনার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার সব নথি তলব করা হয়েছে। ওইদিন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের ৪ ধারায় খন্দকার এনামুল বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু মিজানুর রহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তাই রায়ের এ অংশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল আবেদন করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া বাছিরকে ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মিজানের রায়ে বিচারক বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

দুই ধারার অপরাধ একই ধরনের হওয়ায় তাকে একটি ধারায় অর্থাৎ ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। বাছিরের রায়ে বিচারক বলেন, বাছিরের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, মানি লন্ডারিং আইন ও দুদক আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাকে মানি লন্ডারিং আইনে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris