স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল রবিবার বিকেলে নগরীর শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে নন্দন সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত গুনীজন সংবর্ধনা ও স্বাধীনতা বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে ২৬টি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২৬ জন গুণীব্যক্তিকে ক্রেষ্ট ও সনদ বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখঞ্জী। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তা ছিলেন নন্দন সাহিত্য একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ সাইদুর রহমান সাইদ। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনেক বিশিষ্টজন।
সাংবাদিকতা পেশাতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক আফজাল হোসেনকে সমমাননা ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখঞ্জী ও পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন আলতাব হোসেন মিঞা ও আমজাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানটিতে বক্তারা বলেন, প্রতিবছরই এই ধরনের আয়োজন করে সাহিত্য সংশ্লিষ্ট এই সংগঠণটি। দেশের ৩১টি জেলাতে রয়েছে নন্দন সাহিত্য একাডেমির শাখা। নন্দন সাহিত্য একাডেমির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার সদস্য। দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে ও দেশের ক্লান্তিলগ্নে মানবিকতার হাত নিয়মিতই প্রসারিত করে এই সংগঠণটি বলেও বক্তারা তুলে ধরেন। সঞ্চালক আমজাদ হোসেন তার বক্তিতায় উক্ত সংগঠণটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমানকে ধুপ কাঠির সাথে তুলনা করে বলেন, ‘ধুপকাঠি যেমন মানুষকে সেবা দেবার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়, ঠিক তেমনিভাবে সাইদুর রহমানও মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
তিনি সাইদুর রহমান সম্পর্কে আরো বলেন, সাইদুর রহমান প্রায় তিনযুগ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবহেলিতভাবে পড়ে থাকা গুণী ব্যক্তিদেরকে খুঁজেখুঁজে বের করে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু সম্মানের সাথে তাদের হাতে তুলে দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার উপস্থিত বক্তিতায় দেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে কবিতার একটি লাইনকে কোড করে বলেন, ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চাই হে, কে বাঁচিতে চাই’। স্বাধীনের পঞ্চাশ বছর পড়েও স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ এখানো প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছাইনি বলেও তিনি তার বক্তিতার মাধ্যমে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিজাতির স্বাধীনতার জনক। বঙ্গবন্ধুর কারনেই আজ আমরা নিজের মায়ের ভাষাতে কথা বলা ছাড়াও স্বাধীন একটি রাষ্ট্র পেয়েছি বলেও তিনি তার বক্তিতায় তুলে ধরেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী তার বক্তিতায় সঙ্গীতের সেবক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। নন্দন সাহিত্য একাডেমির উত্তোরোত্তর উন্নতীও কামনা করেন তিনি। পরিশেষে সকল গুণীজনকে ক্রেষ্ট ও সনদ দিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘটে।