বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন বছরে ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দিতে হয়নি গ্রাহক সেবায় সবচেয়ে পিছিয়ে সোনালী ব্যাংক

Paris
Update : শুক্রবার, ২৫ মার্চ, ২০২২

এফএনএস : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েই আমি ব্যাংকের ওপর নজর দেই, বিশ্বাস স্থাপন করি। ব্যাংকগুলোকে বলেছি সরকারের অর্থসহায়তা যাতে নিতে না হয়। সে বিশ্বাস তারা রেখেছে, আমি ঠকিনি। গত তিন বছরে শর্টফল ঘাটতি কাটাতে সরকারের ফান্ড থেকে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ৫০ বছরপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে কেউ একমত হতে পারে না। তবুও আমরা সমন্বয় করছি।

২০৩০-এ দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা লাগবে। সবার সহযোগিতায় এদেশ হবে উন্নত। সোনালী ব্যাংক নিয়ে তিনি বলেন, জনগণের আস্থার ঠিকানা সোনালী ব্যাংক, সে আস্থার জায়গাটি ধরে রাখতে হবে। মন্ত্রী বলেন, তফসিলি ব্যাংকগুলোর ঋণের সুদহার ১২.৩ শতাংশ থেকে ৭.১ শতাংশের মধ্যে নিয়ে এসেছি। ঋণস্থিতি ১২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। কৃষিঋণ চারগুণ বেড়েছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হয়েছে ১১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ।

সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রথম অর্থ সচিব মতিউল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন ও ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, গ্রাহকবান্ধব সেবায় এখনো পিছিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো, যার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে সোনালী ব্যাংক। অর্থাৎ গ্রাহকসেবায় পিছিয়ে থাকার নেতৃত্ব দিচ্ছে খোদ সোনালী ব্যাংক। গ্রাহকদের সেবা দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে আরও কাজ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ৫০ বছরপূর্তি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ফজলে কবির বলেন, হলমার্কের পর সোনালী ব্যাংকের ঋণভীতি আছে। এটা অবশ্যই কাটাতে হবে।

আপনারা ভাবেন ঋণ না দিলেই বাঁচি, এটা হতে পারে না। আবার শুধু বড় বড় প্রকল্পে ঋণ দেবেন, সেটাও হবে না। এ দুই নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনাদের ক্ষুদ্রঋণ আরও বাড়াতে হবে। সঠিকভাবে ঋণ দিলে কোনো ভীতি নেই। তিনি বলেন, ঋণ প্রসেসিংয়ে সোনালী ব্যাংকের ঘাটতি রয়েছে, এটা কাটাতে হবে। সোনালী ব্যাংক ব্যাংকিং সেক্টরে নেতৃত্বে আছে বলেই গ্রাহকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন, এটা হতে পারে না। এ ধরনের কোনো অভিযোগ যাতে না ওঠে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকবান্ধব সেবায় আরও এগিয়ে যেতে হবে। সোনালী ব্যাংক আমাদের কাছে আকর্ষণীয়। তাদের সেই সুনাম ধরে রাখতে যা যা করার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সোনালী ব্যাংকে এখনো লোকসানি শাখা রয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখা কমে এখন ১৬টিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা আশা করবো, এটা দ্রুত শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রথম অর্থ সচিব মতিউল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, আর্থিকপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আতিউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধান।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris