শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার রাজশাহীতে বিভাগীয় পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত স্ত্রীকে কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ইমরান খানের হুমকি ইরানের ইসফাহান কেন হামলার টার্গেট?

গণফোরামের দুই অংশের মধ্যে সংঘর্ষ, এমপি মোকাব্বিরকে ধাওয়া

Paris
Update : রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

এফএনএস : গণফোরামের দুই অংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একাংশের নির্বাহী সভাপতি এমপি মোকাব্বির খানকে ধাওয়া করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশের সম্মেলন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলনের জন্য আনা চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক পক্ষকে প্রেস ক্লাব থেকে বের করে দেয়। জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে গণফোরামের ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন অংশ প্রেস ক্লাবে সম্মেলনের আয়োজন করে।

একই সময়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে। সকাল সোয়া ১০টার পর সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়ে মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে সম্মেলনের বিরোধিতা করেন। একপর্যায়ে দুই অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় মন্টু গ্রুপের নেতাকর্মীরা চেয়ার-টেবিল ভাংচুর এবং সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ছাড়া তারা মোকাব্বির খানকে ধাওয়াও করেন। মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশের নেতাদের দাবি করেন, মেকাব্বির খানসহ ডা. কামাল হোসেনের অংশের নেতাকর্মীরা সরকারের দালাল।

তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গণফোরামকে বিভক্ত করেছেন। তবে সংঘর্ষের সময় উভয় অংশের সিনিয়র নেতা ড. কামাল হোসেন কিংবা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সুব্রত চোধুরী কেউ উপস্থিত ছিলেন না। মোকাব্বির খান বলেন, অনুমতি নিয়ে আমরা সম্মেলনের আয়োজন করেছি। এটা পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি। কিন্তু কিছু দুস্কৃতকারী সম্মেলনস্থলে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। এতে আমিসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এটা গণতন্ত্রের ওপর হামলা। গণফোরাম থেকে বহিস্কৃতরা এ হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বনির্ধারিত কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে প্রেসক্লাবের হলরূমে ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা আমাদের ব্যানারও নিয়ে গেছে।

কার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোস্তফা মহসীন মন্টু গ্রুপের নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট হেলালের নেতৃত্বে ২০-২৫ লোক হামলা করে ব্যানার নিয়ে চলে গেছে। এ সময় ড. কামাল হোসেন গ্রুপের নেতা মোকাব্বির খান এমপিসহ ১০-১২জন আহত হয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তবে হামলার পরে পুনরায় কাউন্সিল অধিবেশন শুরু করা হয়েছে। জানতে চাইলে মোস্তফা মহসীন মন্টু গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের মানববন্ধন ছিল। সেখানে মোকাব্বিরের লোকেরা হামলা করে কয়েকজনকে আহত করেছে।

এরপর মহসিন রশীদের নেতৃত্বে আমাদের লোকেরা তাদের কাউন্সিল স্থলে গিয়ে জানতে চায় যে তারা আমাদের মানববন্ধনে কেন হামলা করেছে। তখন কিছু একটা হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি সেখানে ছিলাম না। বিস্তারিত বলতে পারবো না। মোকাব্বির খান এমপি বলেন, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। কিন্তু কিছু দুস্কৃতকারী কাউন্সিলে হামলা করে আমাকেসহ আরো অনেককে আহত করেছে। এটা গণতন্ত্রের ওপর হামলা। গণফোরাম থেকে বহিস্কৃতরা এই হামলা চালিয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris