শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা মুজিবনগর সরকার আমাদের প্রেরণা : আসাদ

চারঘাটে আম গাছে মুকুলের সমারোহ

Paris
Update : শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : রাজশাহীর চারঘাট অঞ্চলে এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশিসহ নানা জাতের আমগাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। উপজেলার সদর, নিমপাড়া, ভায়ালক্ষ্মীপুর, সারদা, শলুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এবার তিন হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশি, বারী-৪, বারী-১১, আম্রপালি, আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাত উল্লেখযোগ্য। গাছে গাছে আমের মুকুল আর মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়ানোয় আমবাগান এলাকায় ভিন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমচাষিদের মাঝেও ভিন্ন আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার ঘন কুয়াশা না থাকার কারণে মৌসুমের আগেই আমের গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। এ কারণে কৃষকরা সতর্কতার সঙ্গে আমগাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমচাষিরা অনেক আগে থেকে গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। গাছে কীটনাশক, সারসহ পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে সময়মতো। ফলে ইতিমধ্যে গাছে গাছে ফুটে উঠেছে আমের মুকুল। তাই আশায় বুক বাঁধছেন আমচাষিরা।

সরেজমিন পরানপুর এলাকায় গিয়ে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, মাঘের শুরুতে আমগাছের ডালে ডালে মুকুল ফুটতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা মুকুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন। এখন ফাল্গুন মাস। ফলে এ মাসের মধ্যেই সব গাছেই মুকুল ফুটবে বলে আশা করছেন তারা। আমচাষী মোস্তাক আলী বলেন, গত বছর গাছে মুকুল এলেও তা ধরে রাখতে পারেনি। তাই এবার আগে থেকে গাছে ভিটামিন, গাছের গোড়ায় সার, পানি সেচ দিয়ে পরিচর্যা করে চলেছেন। যাতে করে আম আসার সময় মুকুলের গোড়া শক্ত হয়। তাই এবার তারা আশা করছেন আবাহাওয়া ভালো থাকলে আম বাগানের গাছে গাছে অনেক আম আসবে। এমন আশা প্রকাশ করছেন প্রায় সব চাষিরা।

আম ব্যবসায়ী ও চাষী মখলেসুর রহমান বলেন, বর্তমানে আমের মুকুল যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য এন্টাকল, কনসিডর, বেসিসসহ নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে করে হপার পোকার আক্রমণ, পাতা কাটা রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কৃষি কর্মকতারা বলছেন, অবাহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে। কৃষকরা নিজ নিজ আম বাগানের পরিচর্যা শুরু করেছেন। কিছু কিছু গাছে সবে মাত্র দেখা দিতে শুরু করেছে মুকুল মুখ।

এখন গাছে সেচ বা বৃষ্টিরও খুব দরকার নেই বলেও মনে করছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ থেকে এবার আগে থেকে চাষিদের সচেতন করে তোলা হয়েছে। তারা সারা বছর ধরে সার সেচ, গাছের পরিচর্যা করে আসছেন। এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার জানান, এবার মাঘ মাস থেকেই বিভিন্ন গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন গাছগুলো মুকুলে পরিপূর্ণ। আবহওয়ার বিরূপ প্রভাব না পড়লে এবার বাম্পার ফলন হবে, যা বর্তমান গাছে গাছে মুকুলের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris