বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী

চরম লোকসানের মুখে রাজশাহীর আলু চাষিরা

Paris
Update : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আর কে রতন : আলু চাষ করে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর কৃষকরা। উৎপাদন খরচ উঠে আসা তো দূরের কথা, উল্টো বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা আক্ষেপ করে বলেন, বর্তমান বাজারে আধামণ (২০ কেজি) আলু বিক্রি করে কিনতে হচ্ছে এক লিটার সয়াবিন তৈল। তাদের দাবী অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীরও দর নাগালের বাহিরে।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আলু চাষের বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঠিক সরবরাহ এং আবহাওয়া অনুকুল থাকায় চলতি মুওসুমে রাজশাহী অঞ্চলে আলুর ফলন বৃদ্ধি ও চাষাবাদ বেড়ে যাওয়ায় আলুর দাম কিছুটা কমেছে। তবে সংশিষ্ট বিভাগের দাবী আলু সংরক্ষণ করে কিছুদিন পরে বাজারজাত করতে পারলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোকুল গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন। এবার দুই বিঘা জমিতে কাডিনাল জাতের আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। স্বপ্ন ছিল আলু বিক্রি করে জমিতে বোরো ধান রোপণ করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অসময়ের বৃষ্টিতে কিছুটা ভেসে গেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে আলুক্ষেতে পানি জমে। এরপর আলুতে পচন ধরে। বাজারেও কমে গেছে আলুর দাম।

মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল গ্রামের আলু চাষি জফির উদ্দিন দৈনিক আমাদের রাজশাহীকে বলেন, ‘প্রতি বিঘা আলু চাষে যে পরিমাণ উৎপাদন খরচ হয়েছে তার চেয়ে বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ এখন আলুর দাম নেই বললেই চলে। প্রতি মণ আলু পাইকারি বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা। পরিবহন খরচ ও আড়ত খরচ বাদে ৩০০ টাকা থাকে। ২০ কেজি আলু বিক্রি করেও (১৫০ টাকা) ১৭০ টাকায় এক লিটার সয়াবিন তেল কেনা যাচ্ছে না।’ একই কথা জানান, গোদাগাড়ি উপজেলার গ্রামের মানিককন্যা গ্রামের তরুণ আলুচাষি আনোয়ার হোসেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘৪০ শতক জমিতে আলু চাষ করার পরে ফলন দেখে আশা ছিল ভাল লাভ হবে।

গত মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে আলুতে পচন ধরে। পরে সেচ দিয়ে পানি বের করে দেওয়া হয়। এখন ৩০০ টাকা মণ আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও ক্রেতা নেই। তিনি কষ্ট প্রকাশ করে বলেন, ‘২০ কেজি আলু বিক্রি করে একদিনের সবজির বাজার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আগামী বছর আমি আর আলু চাষ করবো না। আলু চাষ করে বিপদে পড়েছেন বাগমারা উপজেলার ফুলপুর গ্রামের নারায়ন চন্দ্র। তিনি বলেন, গত বছর আলু প্রথম দিকে বিক্রি করে লোকসান গুণতে হয়েছে।

এবার আবার অনেক ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আশা করেছিলাম এবার ভাল দরে বিক্রি করে গতবারে লোকসানের ঘাটতি তুলবো। কিন্তু বাজারে এখন আলুর দাম-ই নেই। তাই আলু তুলে করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, উল্টো প্রতি বিঘায় পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। কৃষকরা যাতে আলুর ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দূর্গাপুর উপজেলা সুখানদিঘির আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এখনো আলুর দাম বেশি। সরকারিভাবে আলু বাজারজাত করার ব্যবস্থা করলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছাঃ উম্মে ছালমা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে আলুর দাম নিয়ে কৃষকরা হতাশায় আছেন। আলু সংরক্ষণ করে বাজারজাত করতে পারলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris