বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এবার এইচআইভি মুক্ত হলেন এক মার্কিন নারী

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

এফএনএস : বিশ্বের তৃতীয় ব্যক্তির এইচআইভি মুক্ত হওয়ার খবর জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা। নাভির কর্ড রক্ত ব্যবহার করে স্টেম সেল বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ওই নারীকে এইচআইভি মুক্ত করা হয়। গতকাল বুধবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। জানা গেছে, এইচআইভি থেকে মুক্তির তালিকায় তার অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। তবে মিশ্র বর্ণের নারী হিসেবে প্রথম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত গবেষণায় বলা হয়, নাভির কর্ড রক্ত থেকে তার স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়। গবেষকরা জানান, মধ্যবয়সী ওই নারীর এইচআইভি হওয়ার পর ব্লাড ক্যান্সার শনাক্ত হয়।

এরপর তিনি উচ্চ-ডোজের কেমোথেরাপি নেন। এতে তার রক্ত কণিকা ধ্বংস হয়। পরে নিজের রক্ত কোষের মাত্রা পূরণ করার জন্য পরিবারের একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যের কাছ থেকে স্টিম সেল প্রতিস্থাপন করেন। এটি তার রক্তের কোষগুলো বজায় রাখার জন্য একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। কর্ড রক্তে এমন একটি মিউটেশন ছিল যা কোষকে এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধী করে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস জানায়, ২০১৫ সালে শুরু হওয়া একটি গবেষণার অংশ ছিলেন তিনি। কারণ ২৫ জনের সেল প্রতিস্থাপনের প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখা হচ্ছিল। এর আগে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো একজন এইচআইভি আক্রান্ত রোগীকে এইডস ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব হয়।

তখন এটিকে প্রাণঘাতী এইডস ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। পাশাপাশি রোগীর নাম, পরিচয়, বয়স বা জাতীয়তা, সবই গোপন রাখা হয়েছিল। তবে যেহেতু যুক্তরাজ্যে তাকে এই চিকিৎসা দেওয়া হয় সে কারণে তাকে শুধু ‘লন্ডন রোগী’ নামে ডাকা হয়। তারও একই প্রক্রিয়ায় অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়। এই রোগীর আগে প্রথম একজন রোগীকে এইডস ভাইরাসমুক্ত করা হয় ২০০৭ সালে জার্মানির বার্লিনে। তার দেহেও অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে একইভাবে ভাইরাসমুক্ত করা হয়। প্রথম এইডস ভাইরাসমুক্ত করা রোগীকে ‘বার্লিন রোগী’ নামে ডাকা হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris