শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মেটাভার্সে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার : নিনা

Paris
Update : সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

এফএনএস : ডিজিটাল দুনিয়ার সঙ্গে মিশেল ঘটিয়ে মানুষকে তার বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে যেতেই কাজ করবে মেটাভার্স। কয়েক বছর ধরেই এমন রিয়েলিটির দিকে এগোতে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক নারী অভিযোগ করেছেন, মেটাভার্সে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ নাগরিক নিনা জেন পটেলের অভিযোগ, তিনি ‘মেটা’-র ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ড’-এ নির্যাতনের শিকার হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্টও করেন নিনা।

সেখানে তিনি লিখেছেন, হরাইজন ওয়ার্ল্ডে যোগ দেওয়ার এক মিনিটের মধ্যে তাকে যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়। এমনকি ছবিও তোলা হয় তার। নিনা আরও লিখেছেন, ঘটনার সময় তাদের ব্লক ও রিপোর্ট করার চেষ্টাও করেও সফল হননি তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হেডসেটটি খুলে ফেলতে বাধ্য হন এবং সেটিকে বন্ধ করে দেন। নিনা হরাইজন ওয়ার্ল্ড সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ভাইস প্রেসিডেন্টও। সংস্থাটি মেটাভার্সের ওপরই গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। মেটার একজন মুখপাত্র বলেছেন, হরাইজন ভেন্যুগুলো নিরাপদ হওয়া উচিত এবং এটি নিরাপদ রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভার্চুুয়ালি নারীদের হেনস্থা করা নতুন কোনো বিষয় নয়।

তবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে আরও সতর্ক হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ১৯৯২ সালে নিল স্টিফেনসনের ‘স্নো ক্র্যাশ’ উপন্যাসের চরিত্ররা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ব্যবহার করে ডিজিটাল বিশ্বে বসবাসের গল্প হয়ে ওঠেন। সিলিকন ভ্যালির প্রকৌশলীদের কাছে এ উপন্যাস দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। বলা হচ্ছে, ওই উপন্যাসের প্রভাবেই তৈরি হচ্ছে মেটাভার্স। বিভিন্ন কোম্পানি বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে এ প্রযুক্তিতে। পিছিয়ে নেই জুকারবার্গও।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris