শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোর সদরের বেকারিতে চলছে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

তানোর প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া গ্রামের আদ্যনাথ হালদারের বাড়িতে অবস্থিত তানোর বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তানোর বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ও অনুমোদনহীন কেমিক্যাল ব্যবহার করে তৈরী করা হচ্ছে পাউরুটি, কেক, রোলক্রীম, বিস্কুটসহ বিভিন্ন রকমের মুখরোচক রসালো খাবার। ময়দা ও ডালডা দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাখন। কেকের জন্য তৈরী মিশ্রিত ময়দার ড্রামে অসংখ্য মশা মাছি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

একই পোড়া তেল দিয়ে বারবার ভাজা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের রসালো শিশুখাদ্য যা খেয়ে ছেলে মেয়েরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারিগর বলেন, এখানে উৎপাদিত খাদ্য সামগ্রী ঢাকায় পাঠানো হয় এবং অল্প কিছু উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের দোকানে বিক্রি করা হয়।সরেজমিন দেখা যায়, তানোর বেকারির কারখানায় অনুমোদনহীন কেমিক্যাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি খাদ্যপণ্য। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় উৎপাদন ও মেয়াদ উর্ত্তীনের তারিখ ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে এইসব বেকারি খাদ্য।

বেকারি খাদ্য তৈরিকারকদের কোন প্রকার স্বাস্থ্য পরিক্ষা না করে, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে মাস্কবিহীন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন তোয়াক্কা না করেই খালি হাতেই তৈরি করছেন এইসব বেকারি খাদ্যপণ্য। এতে করে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। এসময় বেকারির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে মালিকপক্ষ জানান কারখানার সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে, তবে তা দেখানো যাবে না। নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আইন সংরক্ষণ ২০০৯ এর আওতায় এনে তানোর বেকারির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে জানতে বেকারি মালিক উজ্জ্বল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনে বেকারি চালানো হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris