এফএনএস : রাজধানীর হযরত শাহজালাল ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী (ইউএই) যাত্রীদের মধ্যে অনেকে ৪৮ ঘণ্টা আগের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে করা টেস্টে করোনা পজিটিভ হচ্ছেন। পজিটিভ হওয়ায় যাত্রা অনিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে যাত্রীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, অন্যদিকে বিপুল সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আগে প্রতিদিন গড়ে দুই-চারজন যাত্রীর পজিটিভ রেজাল্ট আসলেও সম্প্রতি বিপুলসংখ্যক যাত্রী পজিটিভ হচ্ছেন।
একদিনে ১০০-১৫০ যাত্রীর করোনা পজিটিভ হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, নতুন বছরের শুরু থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ অব্যাহতভাবে বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থায় দুবাইগামী যাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এখন পর্যন্ত বিমানবন্দর থেকে পাঠানো পজিটিভ রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া না হলেও প্রতিদিন শতাধিক যাত্রী পজিটিভ হওয়ায় ভবিষ্যতে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা দুরূহ হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আমিরাত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দুবাইগামী সব যাত্রীকে ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে যাত্রা করতে হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি ছয়টি প্রতিষ্ঠান শাহজালালের অভ্যন্তরে এবং শাহ আমানত বিমানবন্দরে চারটি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা করছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শাহজালালে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবে মোট ২ লাখ ৬৯ হাজার ২০৯ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
তাদের মধ্যে এক হাজার ১১৭ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪১ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৯ জন যাত্রীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ। একই সময়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৪ হাজার ৯০২ জন যাত্রীর নমুনা পরীক্ষায় ২২৪ জন করোনা পজিটিভ হয়। শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।