শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
পুঠিয়ায় দশ চাকার ট্রাকে গিলে খাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সড়ক! রাজশাহীসহ দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, বাড়তে পারে আরো তাপপ্রবাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৭ দিন বন্ধ তীব্র তাপদাহে রাজশাহীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগী তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাইমারি স্কুলে অ্যাসেম্বলি না করানোর নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে : জাতিসংঘ রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী নিহত রাজশাহীতে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ধামুইরহাটে ভূয়া সিআইডি গ্রেফতার

ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে বড় ঋণে লাগাম টানলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

এফএনএস : ব্যাংকের ঝুঁকি কমাতে বড় ঋণে লাগাম টেনে ধরেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে একক গ্রাহক বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলে মোট মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ দিতে পারবে না। এতোদিন ১৫ শতাংশ ফান্ডেডসহ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল। তাছাড়া সব মিলিয়ে ব্যাংকের বড় ঋণ হবে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, একটি ব্যাংক একক গ্রাহক বা গ্রুপকে মূলধনের ১০ শতাংশ ঋণ দিলে তা বড় ঋণ বা লার্জ লোন হিসেবে বিবেচিত হয়।

এতোদিন শুধু একক গ্রাহকের ঋণ সীমার বিষয়ে নির্দেশনা থাকলেও সব মিলিয়ে কী পরিমাণ বড় ঋণ দিতে পারবে তা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। তাতে করে এক ব্যাংক একাধিক গ্রাহককে বড় ঋণ দিতে পারতো। তবে এখন থেকে মোট মূলধনের ৪০ শতাংশের বেশি দিতে পারবে না। আর ফান্ডেড ঋণ বলতে-ব্যাংক থেকে সরাসরি টাকা দেয়াকে বোঝায়। আর নন-ফান্ডেড বলতে এলসি, গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন দায়কে বোঝানো হয়।

সূত্র জানায়, কোনো একক গ্রাহককে একটি ব্যাংক থেকে ফান্ডেড, নন-ফান্ডেড মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে। তবে সাধারণভাবে কোনো অবস্থাতেই ফান্ডেড ঋণের পরিমাণ ১৫ শতাংশের বেশি হবে না। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ২৫ শতাংশের পুরোটাই ফান্ডেড দেয়া যাবে। একক গ্রাহকের ঋণ সীমা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ২০১৪ সালে সার্কুলার জারি করেছিল। ওই নীতিমালায় কিছু পরির্তনসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আগের মতোই একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের সঙ্গে বড় ঋণের মোট সীমা দেয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রেও কিছুটা কড়াকড়ি আনা হয়েছে। এতোদিন খেলাপি ঋণের পাঁচটি ধাপ বিবেচনায় বড় ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল। এখন ৬টি ধাপ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৩ শতাংশ বা তার কম থাকলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ থাকলে মোট ঋণের ৫৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারতো। এখন ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের ব্যাংক মোট ঋণের ৪৬ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। আর কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫ থেকে ১০ শতাংশ হলে ওই ব্যাংক মোট ঋণের সর্বোচ্চ ৪২ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতোদিন ওই ধরনের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫২ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দেয়ার সুযোগ ছিল।

এখন থেকে যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ওই ব্যাংক সব মিলিয়ে ৩৮ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। আগে দিতে পারতো ৪৮ শতাংশ। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ খেলাপি ঋণের ব্যাংক ৩৪ শতাংশ বড় ঋণ দিতে পারবে। এতোদিন ওই রকম খেলাপি ঋণের একটি ব্যাংক মোট ঋণের ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত বড় ঋণ দিতে পারতো। খেলাপি ঋণের হার ২০ শতাংশের বেশি হলে এখন থেকে সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ বড় ঋণ দেয়া যাবে। এতোদিন সেক্ষেত্রে মোট ঋণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দেয়া যেতো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris