শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলুর দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২

এফএনএস : আলুর দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক। বাজারে নতুন আলুর দাম নিম্নমুখী হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় গত বছরও শুরুতে আলুর দাম বেশি থাকায় অধিক লাভের আশায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে আলু চাষে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু এবছরের শুরুতেই আগাম জাতের নতুন আলুর দাম কম হওয়ায় ভরা মৌসুমে আলুর বাজার নিয়ে কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। বাজার দর নিম্নমুখি হওয়ায় ইতিমধ্যে অনেকেই আলু পরিচর্যায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বৃষ্টিতে রোপণকৃত আগাম জাতের আলু পচে নষ্ট হলেও হাল কৃষকরা ছাড়েনি। নতুন করে আবারো আলু বীজ রোপণ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে তিস্তার চরাঞ্চলসহ রংপুর অঞ্চলের সর্বত্র আগাম জাতের আলু রোপণের ধুম পড়ে যায়। সুষ্ঠু পরিচর্যা আর অনুকূল পরিবেশের কারনে চরাঞ্চলসহ ওই অঞ্চলের সর্বত্রই আগাম জাতের আলুর ভালো ফলন হয়। আলু রংপুর অঞ্চলে রবি মৌসুমের অর্থকরি ফসল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে একসময়ের পতিত থাকা তিস্তার চরে এখন আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বেশ কয়েক বছর ধরেই কৃষকরা আমন ধান কাটার পর শীতকালীন ফসল হিসেবে আগাম আলুর চাষ করে আসছে। ওই আলু চাষের জন্য কৃষকরা স্বল্পমেয়াদী ও আগাম জাতের আমন ধানের চাষ করেন। প্রচলিত আমন ধানের আগেই ওই ধান কেটে আলু বীজ রোপণ করা হয়। এবার দফায় দফায় বন্যার কারনে অনেকেরই আগাম জাতের ওই আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আর আলু চাষের জন্য সেসব জমিতে ওই ধান চাষ করা সম্ভব হয়নি। অনেকেই ফেলে রাখা ওসব জমিতে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ করেন। সেগুলো এখন তোলার সময় হয়েছে। অনেকেই আবার আলু তুলে ইতিমধ্যে বাজারে বিক্রিও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে নতুন আলুর দাম না থাকায় কৃষকের মাথায় হাত।

সূত্র আরো জানায়, অন্যান্য বছর মৌসুমের শুরুতে বাজারে আগাম জাতের আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এবছর শুরু থেকেই আলু ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। পর্যায়ক্রমে তা এখন ২০-২৫ টাকায় নেমে এসেছে। ওই কারলে ভরা মৌসুমে আলুর দাম নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। এবার শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও আলুর বাম্পার ফলন হবে। আগাম জাতের আলুর ফলন ভালো হওয়ায় সবাই মৌসুমি আলু চাষেও মনোযোগী হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই বাজারে এসেছে নতুন আলু। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন আলু চাষীরা। তারা মৌসুমের আলু নিয়ে এখন থেকেই দুশ্চিান্তায় পড়েছেন।

এদিকে কৃষকরা বলছেন, গত বছর শুরুতে আলুর দাম বেশ ভালো ছিল। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজারে নতুন আলুর যে দাম তাতে উৎপাদন খরচ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত মৌসুমের শুরুতে আলুর দাম ভালো থাকলেও পরবর্তীতে বাজারে আলুর দরপতন নেমে আসে। ফলে অনেকেই হিমাগার থেকে আলু বের করেনি। তাতে প্রায় ৪০ ভাগ আলুই অবিক্রীত থেকে যায়। কেউ কেউ ওই অবিক্রীত আলু আবার ব্যাপক হারে বীজ হিসেবে ব্যবহারের শঙ্কা করছেন। ফলে অনেক স্থানে ফলন বিপর্যয়েরও শঙ্কা রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris