শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীতে মুরগি খামারিরা বিপাকে

Paris
Update : শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত হলেও আবহাওয়াজনিত কারণে রাজশাহীর চারঘাটে ক্রমেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক মুরগির খামার। এজন্য খামারিরা দুষছেন পরিবর্তিত আবহাওয়াকেই। তাদের ভাষ্য, সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় গরমকালে তীব্র গরম ও শীতকালে তীব্র শীতের কারণে তারা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন খামার। এ অবস্থায় গত দুই সপ্তাহের তীব্র শীতে আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। এজন্য বাজারে মুরগির দাম বাড়লেও লস গুনছেন তারা।

জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক মুরগির খামার রয়েছে। এতে প্রায় নয় লাখ বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। এসব খামারে সাধারণত লেয়ার, পাকিস্তানি লেয়ার, ব্রয়লার, কক, সোনালি এবং দেশি জাতের মুরগি পালন ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে শীতের তীব্রতা বাড়ায় অনেক খামারে মুরগি ও মুরগির বাচ্চাদের ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, মুরগির শেডে স্বাভাবিকভাবে ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সীমান্তবর্তী উপজেলা চারঘাটে শীতকালে রাতে ১৪ থেকে ১৫ ডিগ্রি এবং দিনে ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। এ অবস্থায় পাঁচ শতাধিক মুরগির খামারে বিভিন্ন জাতের মুরগির ঠান্ডাজনিত নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ফলে মুরগি পালন ও পরিচর্যা করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খামারিরা। আর শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে ওই সব খামারে মুরগির শেডে কৃত্রিম ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে মুরগির বাচ্চাদের তাপ দেওয়া হচ্ছে।

প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, শীতকালে সাধারণত তাপমাত্রা কম থাকায় মুরগির ঠান্ডায় ভাইরাসজনিত রোগ রানীক্ষেত, গামবোরো, ম্যারেকস, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডাক পেন্টগ, ইনফেকসাস ল্যারিংগোট্র্যাকিয়াইটিস হয়ে থাকে। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ ফাউল কলেরা, ফাউল টাইফয়েড, রক্ত আমাশয়, কৃমি হয়ে থাকে। এজন্য তারা খামারিদের মুরগির খামারে তাপমাত্রা বাড়ানোর জন্য ব্রুডার পদ্ধতি (মুরগির বাচ্চার ঘরে তাপের ব্যবস্থা) মেনে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন।

উপজেলা পোল্ট্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, শীতকালে প্রচন্ড ঠান্ডা এবং খরায় প্রচন্ড গরম পড়ছে। এছাড়া শীতের রোগ হচ্ছে গরমে, গরমের রোগ ছড়াচ্ছে শীতকালে। কয়েকদিন তিব্র শীতে খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যেগুলো টেকানো যাচ্ছে কোনমতে সেগুলোও ডিম দিচ্ছে না। থমকে যাচ্ছে ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধি। ওষুধ কিনতে কিনতে পুঁজি শেষ। দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা দিয়েও ফল হচ্ছে না। তা ছাড়া মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বাজারে মুরগির মাংস ও ডিমের দামও বর্তমানে বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, শীতে মুরগির রোগ বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য মুরগির খামারিদের মুরগি পালন ও পরিচর্যার জন্য নিয়মিত পরামর্শ ও প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris