বুধবার

২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে এভারগ্রীণ’র দখল করে নির্মাণাধীণ কাউন্টার উচ্ছেদ করলো আরডিএ যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার করা হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো : প্রধানমন্ত্রী

জেলের বিশেষ সেলে বন্দী আছেন আব্বাস জামিনে মুক্ত মুক্তার পদ ফিরে পেতে মরিয়া

Paris
Update : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীজীবন কাটাচ্ছেন কাটাখালী পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র আব্বাস আলী। একই কারাগার থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছেন রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মুক্তার আলী। এখন মেয়রের পদ ফিরে পেতে ছোটাছুটি করছেন তিনি। আব্বাস আলী ও মুক্তার আলী দুজনেই দ্বিতীয়বারের মতো পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। আব্বাস দুবারই মেয়র হন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে। আর মুক্তার আলী প্রথমবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও পরেরবার পাননি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ হওয়ায় তাকে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করলে ‘পাপ হবে’ মন্তব্য করে বেকায়দায় পড়েন আব্বাস। তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার নামে মামলা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। এ মামলায় ১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে তিনি। ১০ ডিসেম্বর তাকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার।

আব্বাস রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যাওয়ার ছয় মাস আগে থেকেই এই কারাগারে ছিলেন আরেক বরখাস্ত মেয়র মুক্তার আলী। এলাকার এক শিক্ষককে মারধরের জেরে করা মামলায় পুলিশ গত ৯ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে। বাড়ি থেকে প্রায় কোটি টাকা, অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আরও তিনটি মামলার আসামি হন তিনি। ১২ জুলাই মুক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা সাংবাদিকদের জানান, দুই বরখাস্ত মেয়র একই কারাগারে থাকলেও তাদের দেখা হয়নি। মুক্তার আলী কারাগারে ছিলেন একটি সাধারণ ওয়ার্ডে। আর নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকায় আব্বাসকে রাখা হয়েছে একটি সেলে। ফলে দুজনের দেখা হওয়ার কোনো সুযোগ হয়নি। দুই বরখাস্ত মেয়রের কেউই কারাগারে ডিভিশন পাননি বলেও জানান তিনি। সুব্রত কুমার বালা আরও জানান, একে একে চারটি মামলাতেই জামিন পান আড়ানীর মুক্তার। তারপর ১৯ ডিসেম্বর তিনি মুক্তি পান। আব্বাস আলীর এখনো জামিন হয়নি। আব্বাসের মামলার অভিযোগপত্রও দাখিল হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, কারাগার থেকে বেরিয়ে ১৯ ডিসেম্বর রাতে আড়ানী পৌর এলাকার তালতলী বাজারে সমাবেশ করেন মুক্তার আলী। সমর্থকদের কাছ থেকে সেখানে নিয়েছেন সংবর্ধনাও। পরে মুক্তার আলী ঢাকা চলে যান। মেয়রের পদ ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন। মুক্তার আলী নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তার আলী বলেন, ‘আমার নামে চারটা মামলা দেয়া হয়েছে। পুলিশ মামলার চার্জশিটও দিয়েছে। তবে আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার আমারও আছে। আমি কাজ শুরু করেছি। মেয়রের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আমি হাইকোর্টে রিট করেছি। এখনো শুনানি হয়নি।’ মুক্তার আলীকে বরখাস্ত করার পর আড়ানী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্ত্তিক চন্দ্র হালদার। আর কাটাখালী পৌরসভার আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা পেয়েছেন কাউন্সিলর আনোয়ার সাদাত নান্নু। রাজশাহীর ১৪টি পৌরসভার মধ্যে পবার কাটাখালীর আব্বাস এবং বাঘার আড়ানীর মুক্তারই সবচেয়ে ‘প্রতাপশালী’ মেয়র ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris