এফএনএস : আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ শনিবার। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে। ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ প্রতিপাদ্যে দিবসের মূল ও জাতীয় অনুষ্ঠান কাল সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ অতিমারী ও ভূ-রাজনৈতিক নানা কারণে অভিবাসন আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
অভিবাসীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশন ও সনদসমূহে বর্ণিত বিধানাবলীর যথাযথ প্রতিপালন আবশ্যক। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোনরূপ শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশি¬ষ্ট সবাই সচেষ্ট থাকবেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অন্যদিকে, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, সরকার অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন, গুণগত মানসম্পন্ন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ প্রবাসী কমীকে বিশেষ ব্যবস্থায় ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা ৫ মিলিয়ন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।