শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চীনকে মোকাবিলায় নতুন পথে যুক্তরাষ্ট্র

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২১

এফএনএস : চীনকে মোকাবিলায় এবার মাইক্রোনেশিয়ার ‘গুয়াম’ ও অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন ঘাঁটি তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে এরইমধ্যে পেন্টানগনকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলছেন, চীনকে মোকাবিলার নামে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দিন দিন যুক্তরাষ্ট্র চীন উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে। বাণিজ্য যুদ্ধ কিংবা সাম্প্রতিক তাইওয়ান ইস্যুতে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ বেইজিংয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাইক্রোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ ‘গুয়াম’ ও অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন।

গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বৈশ্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গুয়াম ও অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক ঘাঁটি গড়বে পেন্টাগন। এরই মধ্যে বৈশ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে অস্টিন যে পরামর্শ দিতেছেন তা বাস্তবায়নে অনুমোদন দিয়েছেন বাইডেন। পেন্টাগনের প্রতিবেদনে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সামরিক লোকবল ও সরঞ্জামের সংখ্যা কমিয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

কারণ হিসেবে অঞ্চলটিতে চীনের ক্রমাগত শক্ত অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জজুড়ে সামরিক নির্মাণকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। সাম্প্রতিক তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার পাশাপাশি দেশটির একের পরপর এক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও বেজিংকে প্রাধান্য দিতে পেন্টাগন বাধ্য হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। চীনের পাশাপাশি আরেক পরাশক্তি রাশিয়ার বিষয়ে এখনো অবস্থান পরিষ্কার করেনি পেন্টাগন। মার্কিন সামরিক বাহিনী পূর্ব ইউরোপের জন্য নতুন করে সব ঢেলে সাজাচ্ছে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার কথা জানান অস্টিন। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বেইজিং।

অন্যদিকে চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোকে সময়ের চাহিদা হিসেবে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতিতে চীনের পাশে থাকার কথাও বলেছেন তিনি। পুতিন বলেন, চীনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে আসছে। ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই যখন ভয় পেয়ে গেল তখন চীন ইস্যুতে নতুন নতুন কৌশল হাতে নিতে শুরু করল। অকাশের মতো আঞ্চলিক জোট গঠনের মধ্য দিয়ে তারা এই অঞ্চলে শান্তি স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। পাশাপাশি এখানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। রাশিয়ার শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে দাবি করে কারো সামরিক শক্তি বাড়ানো নিয়ে দেশটি উদ্বিগ্ন নয় বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris