শনিবার

২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোধুলী মার্কেটে সিগারেটের মুথার স্তুপ, ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা!

Paris
Update : সোমবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : অবহেলা, দায়িত্বহীনতা আর যৎসামান্য অসতর্কতার জন্য যে কোন স্থানে আগুন লেগে মালামালের ক্ষয়ক্ষতিসহ হতে পারে প্রাণহাণির মতো ঘটনাও। আর সেটি যদি হয় কোন গোডাউন কিংবা পরিত্যক্ত কোন জিনিসের স্তুপাকার, তবে তো সেই অসতর্কতার কারণে মুহুর্তের মধ্যেই ঘটতে পারে ভয়াবহ কোন দূর্ঘটনা। দেশের অনেক কারখানা, গার্মেন্টসসহ অন্যান্য গোডাউনে অসতর্কতার জন্য আগুণ লেগে মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হবার পাশাপাশি অনেক কর্মীর মৃত্যুর কোলে পতিত হবার মতো ঘটনাও নেহাতই কম নয়।

গেল বছরে রাজশাহী নগরীর গণনপাড়া মোড়ের দুটো তুলার গোডাউনে আগুণ লাগার নেপথ্যেও রয়েছে এমনই ধরণের অসতর্কতার বিষয়টি। সামান্য একটি জ্বলন্ত সিগারেটের আগুণের কারণেও ঘটতে পারে বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা। কিন্তু যত্রতত্র স্থানসহ গোডাউন ও স্তুপাকার মালামালের স্থানগুলোর পাশে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে জ্বলন্ত সিগারেটের মুথা ফেলে চলে যাওয়ার বিষয়টি পরবর্র্তীতে কোন ধরণের ভয়াবহতা ঢেকে আনতে পারে সেটি উক্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে কখনোই আসেনা। এমন একটি চিত্র ক্যামেরায় ধরা পরে নগরীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোধুলী মার্কেটের দ্বিতীয় তলায়।

সিড়ি সংলগ্ন স্থানটির একপ্রান্তে ‘কাঠুরিয়া ফার্নিচার’ শো-রুমের অসংখ্য কার্টুন, প্যাকেট আর প্লাস্টিকের স্তুপাকার ছুয়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সিগারেটের মুথা। ঐ ভবন ও মার্কেটের সিঁড়ি থেকে ছাদ পর্যন্ত প্রতিটি স্থানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য সিগারেটের মুথা। উক্ত স্থানটি দেখে মনে হয় সেটি যেনো কোন বৈধ স্মোকজোন! উক্ত মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ফার্নিচারের বিশাল একটি শোরুম ছাড়াও তৃতীয় তলায় রয়েছে একটি গার্মেন্টস জাতীয় কারখানাও। এছাড়াও সর্ব উপরে রয়েছে নগরীর বিশিষ্ট একব্যক্তির ব্যক্তিগত চেম্বারও। নিচ থেকে সর্ব উপর পর্যন্ত সমস্ত সিঁড়িতেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শ’য়ে শ’য়ে সিগারেটের মুথাসহ দূর্ঘটনা প্রবণ স্তুপাকার স্থানের পাশে অসংখ্য সিগারেটের মুথা দেখে আতঙ্কিত না হয়ে পারা যায়না।

নিজের অবহেলার কারণে জ্বলন্ত কোন সিগারেটের আগুণ থেকে মুহুর্তের মধ্যেই ঘটতে পারে আগুণ লাগার বিষয়টি। আর সেই আগুণ যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হয় তবে সেটির ভয়াবহতা ছড়িয়ে পরতে পারে বাসস্ট্যান্ডের মতো জনবহুল ও স্পর্শকাতর স্থানের সর্বত্রই। উক্ত ভবনসহ এর আশেপাশের কেউ কেউ বলেন, আগুণ নেভানোর পরেই সিগারেটের মুথাগুলো সেখানে ফেলা হয়।

কিন্ত, জরুরী কোন কাজের সময় ব্যস্ততা আর অবচেতনমনে জ্বলন্ত সিগারেট ফেলে দেবার মতো ঘটনা অহরহ হচ্ছে অধিকাংশ স্থানেই। যার জন্যই কোন কারখানা, গোডাউন, মালামালে স্তুপাকার ও স্পর্শকাতর কোন স্থান কিংবা দূর্ঘটনাপ্রবণ কোন স্থানে জ্বলন্ত সিগারেট দাড়িয়ে থাকা টানা কিংবা সেটি উক্তস্থানে ফেঁলে দেওয়াটা সর্বদাই সম্ভাব্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তাই অবহেলা পরিহার করে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিলে সম্ভাব্য দূর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য সচেতন ব্যক্তিদের।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris