বৃহস্পতিবার

২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীতে গ্রীন প্লাজা’র ৫ম প্রকল্পের ‘গ্রীন ছায়েরা মঞ্জিল’ এর শুভ উদ্বোধন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনা লাল গালিচা সংবর্ধনা সাবধান! রাজশাহীতে নকল ফ্লেভার্ড ড্রিংকস-আইস ললি রাজশাহীতে জোরপূর্বক একাধিক ফ্ল্যাট দখলের অভিযোগ এক পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি সই গোদাগাড়ীতে সাড়ে ৬ কেজি হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ি এজাজুল হক ঝাবু গ্রেফতার রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য কোথাও ইসতিসকার নামাজ আদায় আবার কোথাও ব্যাঙের বিয়ে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে ৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে প্রতারণার ক্লু ধরে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত চক্রের মুল হোতসহ ৮ জন গ্রেফতার

‘সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে আর্থিক ক্ষতি ৪০ হাজার কোটি টাকা’

Paris
Update : শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : কথায় বলে- ‘গতিই জীবন’। তবে সেই গতিই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়ে থাকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ। বেপরোয়া গতি আর ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিংয়ের কারণেই এদেশে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আর দুর্ঘটনার কারণে বছরে বাংলাদেশে শুধু আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২১ উপলক্ষে রাজশাহীতে আয়োজিত এক জনসচেতনতামূলক সভায় সড়ক বিভাগ, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এবং ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের বক্তব্যকালে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এ কথা উল্লেখ করেছেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআরটিএ’র রাজশাহী সার্কেল জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে জনসচেতনতামূলক এ সভার আয়োজন করে। রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল জলিল।

সভায় বক্তারা বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, বেপরোয়া গতি এবং বিপজ্জনক ওভারটেকিংয়ের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অনেকে অজুহাত দিয়ে বলেন, ত্রুটিপূর্ণ কিংবা আঁকাবাঁকা সড়কের কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, আমাদের দেশে ৬৭ শতাংশ দুর্ঘটনায় ঘটে সোজা সড়কে। বাকি ৩৩ ভাগ দুর্ঘটনা ঘটে সড়কের বাঁকে। এতে প্রমাণিত হয়, ওভারটেকিং ও বেপরোয়া মনোভাবই বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে বিআরটিএ’র রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক আশরাকুর রহমান গত মার্চে রাজশাহীর কাটাখালীতে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ওই দুর্ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, মাইক্রোবাসটির আসন সংখ্যা ছিল ১২টি। অথচ, এতে উঠেছিলেন ২০ জন। বাস এবং মাইক্রোবাসের দুটিরই গতি ছিলো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি। সামনে বাঁশবাহী ভ্যান থাকা স্বত্বেও মাইক্রোবাসটি ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করছিল। আর ওই সময়ই সামনে থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে নিহত হন ১৭ জন। এ ঘটনাটির ঘটনাস্থল ছিল একেবারে সোজা সড়কে। আর ওই মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে উভয় চালকেরই ওভারটেকিং করার কারণে।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামে পেশাদার নারী চালক আছেন। কিন্তু তাঁদের দুর্ঘটনায় পড়ার কথা শোনা যায় না। কিন্তু পুরুষদেরই বেপরোয়া মনোভাব থাকে। ফলে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে। সভায় জানানো হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিশ্বে ১৩তম অবস্থানে। আর এশিয়ায় সপ্তম। গত ছয় বছরে দেশে ৪৪ হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কারণে বছরে বাংলাদেশে শুধু আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এটি দেশের জিডিপিকে ২ থেকে ৩ শতাংশ পিছিয়ে দিচ্ছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে হবে। আর এজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

পথচারী-চালক সবাইকে বোঝাতে হবে, সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাহলে ধীরে ধীরে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। সভায় রাজশাহীর পুলিশ সুপারের পক্ষে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শারমিন আক্তার, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিয়াজ মেহেদী, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর জেলা সভাপতি তৌফিক আহসান টিটু প্রমুখ। সভায় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি রফিক আলম, সাধারণ সম্পাদক এস.এইচ.এম. তরিকুলসহ রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris