শুক্রবার

২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর হয়রানির বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধের হুঁশিয়ারি

Paris
Update : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১

এফএনএস : মানবপাচার আইনের অপব্যবহার করে রিক্রুটিং এজেন্সি সংশ্লিষ্টদের হয়রানি করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মানবপাচার মামলায় ভুক্তভোগী, সাধারণ রিএজেন্সির মালিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের’ ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই ‘হয়রানি’ বন্ধের আশ্বাস না পেলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানো বন্ধের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ইতোমধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখের অধিক নারী ও পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করেছে।

যার মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদেশ থেকে আগত স্মার্ট কার্ডপ্রাপ্ত কর্মীদের যে কোনও অভিযোগে মামলা করার আগে প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো অথবা বায়রা’র মাধ্যমে যাচাইয়ের পর ব্যবস্থা নিতে হবে দাবি করে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদন্ত ও আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই রিক্রুটিং এজেন্সি সংশ্লিষ্টদের মানবপাচার মামলার অপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।

বৈধভাবে বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে কর্মী পাঠানো কোনও অবস্থাতেই মানবপাচার নয় উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, কর্মীদের কোনও অভিযোগ থাকলে সেটি অভিবাসী আইন-২০১৩ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। কিন্তু সেটি না করে বিনা পরোয়ানায়, শুধু কর্মী অথবা তার অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে, অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি মালিককে জামিন ও আপোশ অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris