চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : মাদক পরিবার, সমাজ ও রাষ্টের জন্য মারাত্মক হুমকি। মাদক সামগ্রিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই সেইদিক বিবেচনায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ। ডোপ টেস্ট করার পর নেগেটিভ আসলেই জেলা কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। দেশে মাদকমুক্ত নেতৃত্ব তৈরি করতেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ জালাল মুকুল এসব কথা বলেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা শহরের একটি হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ জেলা কমিটি গঠনে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাহ্ জালাল মুকুল বলেন, নেতা নির্বাচনের আগে ডোপ টেস্টের এই সাহসী সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা ও আর্শীবাদ রয়েছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মনেপ্রাণে চান, দেশকে মাদকমুক্ত করতে। তাই মাদকবিরোধী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। তার যথাযথ নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ গঠনের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।

ডোপ টেস্টের এই সিধান্ত নিয়ে সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ জালাল মুকুল আরও বলেন, আগামী বুধবার (০৬ অক্টোবর) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ উপলক্ষে গত শনিবার (০২ অক্টোবর) জেলা কমিটিতে বিভিন্ন পদের প্রার্থী হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১০ নেতা-কর্মীর ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। রাজধানীর পপুলার হাসপাতালে এসব স্বেচ্ছাসেবক লীগের পদ প্রত্যাশীরা ডোপ টেস্ট দিয়ে আসেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী বুধবার (০৬ অক্টোবর) আগেই সম্মেলনের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের সকলের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট আমাদের হাতে চলে আসবে। যাদের পজেটিভ আসবে তাদেরকে পুনঃবাসনে কাজ করা হবে। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়ার পর স্থানীয় নেতাদের মতামত ও পরামর্শ এবং দলের প্রতি তাদের ভালোবাসা, ত্যাগ বিবেচবায় নিয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ইফতেখারুল ইসলাম সুজন, জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শহিদুল হুদা অলক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাইজার রহমান কনকসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।