বৃহস্পতিবার

২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তানোর আ’লীগের নেতৃত্বে ময়নাকে চায় তৃণমুল?

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের আলোচনায় উঠে এসেছেন সেরা সংগঠক, আদর্শিক, কর্মী-জনবান্ধব এবং পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, কলমা ইউপির দুই বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বের প্রতি পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তাদের একজন বিশ্বত্ব কর্মী হিসেবে ময়না তানোর আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

কখানো কোনো লোভ-লালসার স্রোতে গা-ভাসিয়ে দিয়ে আদর্শচ্যুত হননি, কখানো মুল ধারার বিপক্ষে যাননি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে এখানো মুল ধারায় রয়েছেন।এমনকি বিগত দিনে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকগণ এমপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রে মিথ্যা নালিশ করে আওয়ামী ভাঙার ষড়যন্ত্রে করেছিল। তখন এমপির সহযোগীতায় ময়না তাদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মুলধারার আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে আগলে রেখে ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে নেতার যে ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, নেতৃত্বগুন এবং কর্মী বাহিনী প্রয়োজন তার সবগুলো ময়নার রয়েছে।

তিনি একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দুরদর্শী সম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী। জানা গেছে, ২০০৩ সালে যুবলীগ দিয়ে তার রাজনৈতিক বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তিনি একটানা ১২ বছর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১১ সালে তানোর উপজেলার কলমা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়ে জনগণের বিপুল ভোটে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০১৫ সালে ২৩ এপ্রিলে নেতা-কর্মীদের দাবির মুখে তাকে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি করা হয়। ২০১৬ সালে ২৩ এপ্রিল আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকার প্রতীক পেয়ে জনগণের বিপুল ভোটে জয়ী হন। এদিকে আবারো দলের নেতাকর্মী ও আমজনতার দাবির মুখে কলমা ইউপি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তানোর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত নৌকা প্রতীক পেয়ে জনগণের বিপুল ভোটে তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মুলত ময়নাকে কেন্দ্র করেই তানোর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলছে।

অধিকাংশক্ষেত্রে অন্যরা যখন নেতার টাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে রাজনীতি করে, তখন ময়না নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে নিররস ভাবে কাজ করছেন, তবে তিনি কোনো নেতার কাছে থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করেন নি বরং নিজের টাকায় বিভিন্ন কর্মসুচি পালনে সহায়তা করে আসছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আশা-ভরসার প্রতিক ময়না। স্থানীয়রা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বির্তকিত ভুমিকা, নানামুখী ষড়যন্ত্র, পৃথক বলয় সৃষ্টির নামে দলীয়কোন্দল সৃষ্টি ও সংগঠনপরিপন্থী কর্মকান্ডে আওয়ামী লীগ অনেকটা নেতৃত্ব সংকটে ভুকছে।

তারা আওয়ামী লীগে রাবনের চিতা (চির অশান্তি) হয়ে উঠেছে। ফলে আওয়ামী লীগের বিছিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে রাবনের চিতার বিনাশ, সাংগঠনিক কর্মকান্ড গতিশীল, পুনরুজ্জীবিত ও নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফেরতা রাজনৈতিক দুরদর্শী সম্পন্ন আর্দশিক নেতৃত্ব ময়নার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ৮১ টি ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাদের প্রায় ৯৫ শতাংশ ময়নাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন; একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি জীবনে কি পেলাম?

বা কি পেলাম না, সেটা বড় কথা নয়, আমি আমার দলের জন্য কি করতে পারলাম, দল আমার থেকে কতটুকু পেলো, আমি জনসাধারণের জন্য কতটুকু উন্নয়নে কাজ করতে পারলাম, জনগণ আমার কাছে থেকে কতটুকু সেবা পেলো, সমাজের জন্য কি অবদান রাখছি, আগামীতে কি করবো, সেটাই সব চেয়ে বড় কথা। তিনি বলেন, সেই চিন্তা-চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই আমি রাজনীতি ও প্রতিনীধিত্ব করি৷ আর সেই আদর্শীকতা নিয়ে রাজনীতি করলে, সেই রাজনীতির কখনও মৃত্যু হয় না, ধ্বংস হয় না৷ আমি সাধারণ জনগণ ও দলের তৃণমুল নেতা-কর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে এতদুর এগিয়ে চলেছি, জনগণই আমার সকল শক্তির উৎস।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris