শুক্রবার

১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! বাগমারায় এক স্কুলের সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক এলাকাছাড়া! বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল জাতীয় চার নেতা কখনো মৃত্যু ভয় করেননি : লিটন প্রেমিককে কুপিয়ে জখম করল প্রেমিকা! গোদাগাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আরো ২ আসামি গ্রেপ্তার এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের সরে দাঁড়াতে নির্দেশ সেনাবাহিনীতে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া তিন প্রতারক রাজশাহীতে গ্রেফতার পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলেন পুত্রবধূ! রাজশাহীর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে আরডিএ’র জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ! সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

গোমস্তাপুরে জলাবদ্ধতায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গোমস্তাপুর সংবাদদাতা : স্কুল মাঠ ও আঙ্গিনায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় খুদে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলের পাশের ডোবায় বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ হঠাৎ করে সেই ডোবা বালু দিয়ে ভর্তি করার কারণে বৃষ্টির সমস্ত পানি স্কুলের আঙ্গিনায় ও মাঠে জমা হচ্ছে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে এই ডোবা ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সামান্য বৃষ্টিতে যদি স্কুলের মাঠে এভাবে পানি জমে থাকে তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে চলবে এই প্রশ্ন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের? এ ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার হাউস নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের মাঠে এবং আঙ্গিনায় হাঁটু পরিমান পানি জমে আছে। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পানির মধ্যে স্কুলে যাতায়াত করছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা হলেও প্রথম দুই তিন দিন স্কুলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। স্কুলে আসার সময় কয়েকজন ছাত্র পানিতে পড়ে, তাদের জামাকাপড় ও বই-খাতা ভিজে নষ্ট হতে দেখা গেছে। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মুক্তারা খাতুন বলেন, স্কুল বন্ধের সময় আমরা বিষয়টি শুনেছিলাম। অথচ করোনার আগে এ পরিস্থিতি ছিল না। ইউনিয়ন পরিষদে এভাবে ডোবা ভরাট না করলে আমাদের এহেন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শিমুল জানায়, স্কুল খোলার প্রথম দিনে এসে দেখি হাঁটু পরিমান পানি জমে আছে আমাদের স্কুলে। ক্লাসরুমে যেতে হলে হাঁটু সমান পানি পেরিয়ে যেতে হবে। এছাড়া স্কুলে আসার পথেও কয়েকজনের বই খাতা ও জামা কাপড় নষ্ট হয়ে গেছে।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র নাবিউল জানায়, স্কুল মাঠে পানি ও কাদা জমে থাকায় আমরা অবসর সময়ে খেলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। তাছাড়া স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমাদের সমস্যাও হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, বিগত দিনগুলিতে ভারী বর্ষণেও গত তিন দশক ধরে স্কুলের মাঠে কোনোদিন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। অথচ এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই গোটা গ্রামের পানি এসে জমা হয় স্কুলের মাঠে ও আঙ্গিনায়। যার ফলে স্কুলের পাঠদানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যদি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করত তাহলে এমন দূর্ভোগে পড়তে হতো না আমাদের। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা নির্বাহি অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি। ইউএনও মহোদয় ইতিমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, স্কুলের পাশে একটি ডোবা ভর্তি করার কারণে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । ডোবাটি সরকারি হওয়ার কারণে নদীর ড্রেজিংয়ের বালু পেয়ে ভরাট করা হয়েছে। তবে স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রয়োজনে স্কুল মাঠ ভরাট করে দিব। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, ইউএনও মহোদয় এর সাথে পরামর্শক্রমে উপজেলা প্রকৌশলী ও আমি সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব,তবে তা বরাদ্ধ প্রাপ্তি সাপেক্ষে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গোমস্তাপুর মো. মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে চৌডালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের প্রাপ্ত এডিবির বরাদ্দ থেকেই স্কুলের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনে ড্রেন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris